445
Published on সেপ্টেম্বর 16, 2015বিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৪র্থ নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সিদ্দীকি জানাজার নামাজ পড়ান। কিছুক্ষণের জন্য যেন স্থবির হয়ে পড়ে গোটা জেলা শহর, দূর-দূরান্ত থেকে জানাজায় শরীক হতে মানুষ ছুটে আসে।
জানাজার নামাজ শুরুর আগে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বক্তৃতা করেন- জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ, স, ম ফিরোজ, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনসহ স্থানীয় এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
সৈয়দ মহসিন আলীর মৃত্যুতে গত ৩ দিন ধরে মৌলভীবাজার জেলায় শোকের ছায়া বইছে। তাই মরহুমকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বত্রই ছিল উপচেপড়া ভিড়।
ঢাকায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিমান বাহিনীর হেলিকাপ্টার যোগে মরহুমের প্রিয় শহর মৌলভীবাজারে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মরদেহ নিয়ে আসা হয়। শ্রীমঙ্গল সড়কের দর্জির মহলের নিজ বাড়িতে মরদেহ আনা হলে শুভানুধ্যায়ী, রাজনৈতিক সহকর্মী ও দল-মত নির্বিশেষে হাজারো সাধারণ মানুষ প্রিয় নেতাকে শেষ দেখা দেখতে ছুটে আসেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। সমবেদনা জানান পরিবারের সদস্যদের। পরিবারের পক্ষ থেকে খোলা শোক বইয়ে যার যার অভিব্যাক্তি লিপিবদ্ধ করেন, যার মূল অভিব্যাক্তি-এ ক্ষতি কোনদিন পূরণ হবার নয়।
সেখান থেকে বেলা আড়াইটায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার জনতা তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মন্ত্রী মহসিন আলী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে তাঁকে মঙ্গলবার রাত ১১টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানযোগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আনা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নেতৃত্বে সরকারি কর্মকর্তা এবং পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ গ্রহণ করেন। সকাল ৮ টায় মরদেহ কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হলে সর্বস্তরের জনগণ তাঁকে শ্রদ্ধা জানান।
পরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর প্রথম নামাজে জানাজায় মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, কূটনীতিক, সংসদ সদস্য, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরীসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরহুমকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।