591
Published on সেপ্টেম্বর 13, 2015বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে ইতোপূর্বে জারি করা রুলের চুড়ান্ত শুনানি শেষে আজ এ রায় দেয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ নামে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালায়। ওই অভিযানে চলা কার্যক্রমকে দায়মুক্তি দিয়ে ২০০৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘যৌথ অভিযান দায়মুক্তি আইন’, ২০০৩ করা হয়। এ আইনটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ২০১২ সালে ১৪ জুন হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।
রিটে আইন, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র সচিব, সেনা সদর দপ্তরের কমান্ডার ইন চিফ অব আর্মড ফোর্সেস ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) রেসপনডেন্ট করা হয়।
রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১২ সালের ২৯ জুলাই ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ নামে পরিচালিত অভিযানের কার্যক্রমকে দায়মুক্তি দিয়ে করা আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে ক্ষতিপূরণ দিতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।
রিটের পক্ষে আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করেছে। ওই আইনের ১৪ ধারা অনুসারে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে কেউ নির্যাতিত হলে ও এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ প্রদানে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। ভারতের সুপ্রিমকোর্টও এ ধরনের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে অনেক রায় দিয়েছে।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, দায়মুক্তি আইনটিতে বলা হয়, অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ কোনো আদালতে প্রতিকার চাইতে পারবে না। কারো বিরুদ্ধে মামলা বা বিচার প্রার্থনা করা যাবে না। এটা সংবিধানের মৌলিকতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এর্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।