478
Published on সেপ্টেম্বর 9, 2015তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতাসহ সকলেই এক সাথে দাঁড়িয়ে জাতির জনকের প্রতি সম্মান জানাবো। অথচ বঙ্গবন্ধুকে বিভক্ত করে আমরাই তাঁকে খাটো করেছি।’
সৈয়দ আশরাফ আজ বুধবার সকালে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে ‘রোগীর সেবায় হই আরো যত্ববান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচি শেষ হল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় শোক দিবস সার্বজনীনভাবে পালন করতে না পারলেও এবার যেভাবে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা সফল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সময়ের ব্যবধানে আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে আদর্শিক বঙ্গবন্ধু যে আরো অনেক বেশি শক্তিশালী তা প্রমাণিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, বিএমএ’র সাবেক মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন ও আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু।
অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ডা. রুহুল আমীন মিয়া ও উপ-উপাচার্য (গবেষনা) অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা শুধু একটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। ভারতে যেমন মহাত্মা গান্ধী এবং যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ওয়াশিংটনকে স্মরণ করা হয় আমরা বঙ্গবন্ধুকে সেভাবে স্মরণ করতে চাই।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে আততায়ীর হাতে জীবন দিতে হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুকেও সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু ও গান্ধীর আদর্শকে হত্যা করতে পারিনি। তাঁরা মানুষের মনে চিরদিনের মতো স্থান করে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস যেভাবে পালিত হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি সন্তষ্ট। কেননা অনেক লোক এবার প্রথম বারের মতো জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ যারা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন সৈয়দ আশরাফ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।