361
Published on আগস্ট 26, 2015আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোস অ্যান্টোনিও মিয়াডি কুরিব্রে বুধবার বিকেলে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৪০তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর দু’দেশের মন্ত্রী অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এ সময় তারা এই সমঝোতার মধ্য দিয়ে ঘনিষ্ঠ সংলাপে সম্মত হয়। ঢাকায় বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে প্রথমবারের মতো ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হবে।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,মেক্সিকো বাংলাদেশে তাদের দূতাবাস খোলার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে অবগত রয়েছে। তিনি যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে মেক্সিকোর একটি মিশন খোলার ব্যাপারে আশাবাদী।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সানন্দে এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আগ্রহ দেখান।
এর আগে সকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এক ভোজসভায় মেক্সিকোর শীর্ষ স্থানীয় উৎপাদনকারী কোম্পানীগুলোর প্রেসিডেন্ট ও মহাপরিচালকগণের সঙ্গে এক ভোজসভায় অংশ নেন। এ সময় অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে ট্রেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশন অব মেক্সিকোর সভাপতিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ভোজসভাটি অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে।
বৈঠককালে মেক্সিকোর উৎপাদনকারীরাও চলতি বছর বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতেবাংলাদেশ সফরে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তারা আগামী বছরের গোড়ার দিকে বাংলাদেশের পণ্যের প্রচারণার জন্য দুটি বড় প্রদর্শনীতে অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেন। মেলা দুটি হচ্ছে ‘ইন্টারমোদা ফেয়ার’ ও পুয়েবলা ফেয়ার’। এই মেলায় বাংলাদেশ অংশ নিলে নিজেদের পর বাজার সৃষ্টি হবে বলে তারা মতামত ব্যক্ত করেন।
মেক্সিকোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুপ্রদ্বীপ চাকমা, মহাপরিচালক (আমেরিকাস), মেক্সিকোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ও পরিচালক (প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়) এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
খবরঃ বাসস