464
Published on আগস্ট 23, 2015প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোববার তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামীতে বাংলাদেশে জাপান থেকে আরো সরাসরি বিনিয়োগ আসবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশী বিনিয়োগ সহজতর করতে তাঁর সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মিত হচ্ছে এবং এতে জাপানের বিনিয়োগকারীরা তাদের কারখানার স্থান বেছে নিতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী নতুন রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানিয়ে আশা পোষণ করেন যে, আগামীতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নে সম্পর্ক জোরদার হবে।
স্বাধীনতা লাভের সময় থেকে জাপান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী একথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের প্রথম ও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে দেশের উন্নয়ন।
তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে গৃহীত ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, তাঁর সরকার দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুততর করতে যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বিশেষ করে ‘টুনা মাছ’ চাষ ও প্রক্রিয়াজাতসহ মৎস্য খাতে জাপানের আরো সহযোগিতা কামনা করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ আসার পর তিনি এ দেশের কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং এ খাতে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আরো জোরদারের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে জাপানের সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন।
বৈঠকে মাসাতো ওয়াতানাবে দু’দেশের শোকের অভিন্ন মাস আগস্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, আগস্ট হচ্ছে উভয় দেশের জনগণের শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের এই মাসে বাংলাদেশের জাতির পিতা নৃশংসভাবে নিহত হয়েছেন। ১৯৪৫ সালের এই একই মাসে জাপানের হিরোশিমা ও নাগসাকিতে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রী জাপানের একজন সাহিত্যিকের ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ জাপানী ভাষায় অনুবাদের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
খবরঃ বাসস