আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশের দীর্ঘদিনের দাবীর সমর্থন করেছেন কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনি

373

Published on আগস্ট 11, 2015
  • Details Image

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন নিউইর্য়ক ম্যানহাটনে সোমবার ( ১০ আগস্ট) কংগ্রেসওম্যানের সঙ্গে তার অফিসে দেখা করতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি।

নিউইর্য়কে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেস বার্তায় এসব জানানো হয়।

ম্যালোনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বর্তমানে যখন দেশটি সন্ত্রাসবাদ এবং ধর্মীয় উগ্রদতবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন কেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে না?

ম্যালোনি বাংলাদেশ ককাসের একজন সদস্য। তিনি আশ্বাস দেন ককাসের অনান্য সদস্যদের সঙ্গে একযোগে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন এবং যাতে বাংলাদেশ বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা পেতে পারে।

প্রায় ৩০ মিনিটের এ বৈঠকে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, নারী ক্ষমতায়ন, দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ - যুক্তরাষ্ট্রের বহুমুখী সহযোগিতাসহ বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ম্যালোনিকে অবহিত করেন।

দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামিম আহমদ এবং কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) নাঈম আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন বাংলাদেশে এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এবং দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার দোড় গোড়ায় উপস্থিত।

জিয়াউদ্দিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানী পণ্য বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে যা চুড়ান্তভাবে নারীর ক্ষমতায়নের অবদান রাখবে। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন বর্তমানে ঢাকা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসারিত এবং গভীর হচ্ছে এবং পার্টনারশিপ ডায়লগ, সিকিউরিটি ডায়লগ এবং টিকফা বাস্তবায়নে দুদেশের সম্পর্ক আরো প্রশারিত করছে।

রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার সকল ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স কার্যক্রম গ্রহণ করছে।

তিনি বলেন, জামায়াত এবং অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠী যাদের অনেকেই আফগান যুদ্ধে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে তারাই এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু বন্ধু ভাবাপন্ন দেশ এই সন্ত্রসী কার্যক্রম নির্মূলে সহযোগিতা করে আসছে।

কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনি জানতে চান কেন বাংলাদেশ সরকার এই সকল ধর্মীয় উগ্রবাদী দলগুলোকে পরিহার করছে না উত্তরে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন যে, সরকার এই ব্যাপারে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে।

রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সংগঠিত ইতিহাসের কলঙ্কজনক হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনিকে অবহিত করেন।

তিনি বলেন ঐ কালো রাতে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়।

কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনি এই মর্মান্তিক ঘটনা শোনার পর শোকাতুর হয়ে পড়েন ।

তিনি আসন্ন জাতিসংঘ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

কংগ্রেসওম্যান ম্যালোনি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত