438
Published on জুলাই 8, 2015তিনি আজ সংসদে ষষ্ঠ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যখন দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি, তখন ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে পেট্রোল বোমায় মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে। দেশের মানুষ তা দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়া এখন নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন। তিনি আমাদের নামে মিথ্যাচার করার পাশাপাশি যে পুলিশ বাহিনী দেশের শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে, তাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, রমজান সংযমের মাস আত্মশুদ্ধির মাস। অথচ এ রমজানে ইফতারের সময় বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যাচারে আমি তাজ্জব হয়েছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের ছবি সংসদে উপস্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন সরকার উৎখাত না করে তিনি ঘরে ফিরে যাবেন না। অথচ এতিমের টাকা মেরে খাওয়া মামলায় হাজিরা দিতে ৯৩ দিন পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে বাড়িতে ফিরে যান।
গ্রামে খাবার নেই বেগম খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, গ্রামের একজন দিনমজুর একদিনে যা আয় করেন, তা দিয়ে ১০ থেকে ১২ কেজি চাল কিনতে পারেন। হতদরিদ্রের হার হ্রাস পেয়েছে। হতদরিদ্রদের সরকার বিনামূল্যে খাদ্য দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সরকারের আমলে ৫ কোটি মানুষ নিম্ন আয়ের থেকে মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মাদক চোরাচালান রোধ, বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন, ঘরে ফেরা কর্মসূচি, গৃহায়ণ কর্মসূচি, ভেজাল বিরোধী অভিযান, যানজট নিরসনসহ জনগণের যানমালের নিরাপত্তা দিতে সরকার সদা সচেষ্ট ছিল এবং রয়েছে। তিনি বলেন, এ সময়ে ১ কোটি ৮ হাজার মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুবকদের কর্মসংস্থানে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় সাড়ে ৬ লাখ এবং সৌদিতে সাড়ে ৮ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বাজেট অধিবেশনে সহযোগিতা করার জন্য স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।