411
Published on মে 19, 2015তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বর্বরোচিতভাবে হত্যার ২১ বছর পর দেশে পুনরায় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। গত দু’দশকের চর্চার ফলে গণতন্ত্র এখন মজবুত ভিতের ওপর দন্ডায়মান।
কমনওয়েলথ দেশগুলোর বিভিন্ন পার্লামেন্টের ৩৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
৯টি কমনওয়েলথ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের ২৭টি পার্লামেন্টের ৩৭ জন পার্লামেন্ট মেম্বারের সমন্বয়ে এ প্রতিনিধি দল গঠিত। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
ঢাকায় ২৬তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি সেমিনার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সারাবিশ্বের পার্লামেন্ট মেম্বারদের মধ্যে ভাব বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এর ফলে বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আরো সুসংহত হবে।
২৬ তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি সেমিনারের জন্য বাংলাদেশকে বাছাই করায় প্রধানমন্ত্রী সিপিএ’কে ধন্যবাদ জানান।
সেমিনারের জন্য ‘সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক এ সময়োচিত বিষয় বাছাই করার জন্য আয়োজকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এর ফলে কমনওয়েলথ দেশগুলোতে সংসদীয় গণতন্ত্র আরো জোরদার হবে।
বৈঠকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নারী নেতৃত্বকে সর্বোচ্চ আসন দিয়ে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তারা প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ উপনেতা ও বিরোধী দলীয় নেতার আসনে নারীর অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন।
তারা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করার জন্যও শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, এই উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছে।