403
Published on এপ্রিল 29, 2015তিনি বলেন, ভোটের দিন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া বিএনপি’র পূর্ব পরিকল্পিত। এটা পরিষ্কার যে তারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা চায় না। বিএনপি দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে ৩ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে বিএনপি’র সরে যাওয়া দুঃখজনক। ৩ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি একটি অভিযোগও প্রমাণ করতে পারেনি।
আজ রাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সাঈদ খোকন এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক কয়েকজন নির্বাচিত কাউন্সিলরসহ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও এইচটি ইমাম, সভাপতিম-লির সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, এডভোকেট সাহারা খাতুন ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি, রেলওয়ে মন্ত্রী মুজিবুল হক এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মিথ্যা অভিযোগ তুলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছেন, তাদের খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে। তারা দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা চান না এবং সব সময় অসাংবিধানিক সরকার চান।
শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের লোকজন মনে করে অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসলে তারা একটি পতাকা পাবে। তিনি বলেন, এ ধরনের সুযোগ আর বাংলাদেশে আসবে না এবং তাদের স্বপ্ন আর কখনো পূরণ হবে না।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর দল সমর্থিত প্রার্থীর বিজয়কে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নাশকতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের রায় বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এটি গণতন্ত্র এবং সাধারণ মানুষের বিজয়।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পক্ষে এটি তাদের পরাজয়। ৩ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয় লাভ না করায় তারা শোকে-দুঃখে মুহ্যমান।
এটি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নাশকতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের রায় বলে তাঁর সঙ্গে দেশবাসী একমত হবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছে। তিনি ভোটার, দলের কর্মী ও সমর্থক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত প্রশাসনসহ সর্বস্তরের জনগণকে অভিনন্দন জানান।
নির্বাচনে কারচুপির ব্যাপারে বিএনপি’র অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট শুরু হওয়ার মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যেই প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পরও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছে। এরপরও কারচুপির অভিযোগ করায় প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপরও কিছু ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের ব্যাপারে তদন্ত করা হবে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে প্রতিটি অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে মিডিয়ার সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে জনমত গঠনে তাদেরকে ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ সন্ত্রাসী, খুনিদেরকে উৎসাহিত করে কেউ লাভবান হবে না।
পরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল