392
Published on মার্চ 22, 2015প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমি ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ভূমি অফিসগুলোতে অগ্নিসংযোগকারী অপরাধীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছি। আমি এখন ওইসব অপরাধীর জমি ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ভূমি অফিস পুড়িয়ে দলিলপত্র ধ্বংসকারীদের জমি ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওইসব অপরাধীর তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তিতেও কোনো অধিকার থাকবে না। তারা তাদের নিজ এলাকায়ও থাকতে পারবে না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেবো।’
তিনি আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এ নির্দেশ দেন।
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধে বিগত তিন মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপুলসংখ্যক ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেয়ার প্রেক্ষাপটে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন, ‘অফিসগুলো পুড়িয়ে ফেলার রহস্য কি এবং দলিলপত্র ধ্বংসের পেছনে কি রহস্য রয়েছে?’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ক্ষতি করার লক্ষ্যে কোনো মানুষ এমন বর্বর কাজ করতে পারে এটা অবিশ্বাস্য। কিন্তু তারা এমন কাজই করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা পেট্রোল ঢেলে ও বোমা ছুঁড়ে মানুষ হত্যা করছে। তাদের এই নৃশংসতা থেকে যানবাহন, পশু ও মুরগি বহনকারী যানবাহনও রক্ষা পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, এটা দুঃখজনক যে, বাংলাদেশ যখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে- সে সময় বিএনপি-জামায়াত হরতাল ও অবরোধের নামে জঙ্গীবাদী কর্মকান্ড করছে এবং মানুষ পুড়িয়ে মারছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন।
এতে মন্ত্রণালয়টির সচিব ড. চৌধুরী মোহাম্মদ বাবুল হাসান স্বাগত বক্তৃতা দেন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকান্ডের বিবরণ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামগণের পক্ষে বক্তৃতা করেন মাওলানা আবুল কালাম।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ ইমাম ও শিশু-কিশোর সংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল