441
Published on মার্চ 22, 2015উদ্বোধন শেষে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান প্রদর্শনী স্থলের ওপর দিয়ে উড়ে যায় এবং সেখান থেকে ছত্রী সেনারা সাফল্যজনকভাবে প্যারেড স্কয়ারে অবতরণ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনীর স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন হালকা ও ভারি অস্ত্র প্রত্যক্ষ করেন। এসময় তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা ও অবদান সংক্রান্ত প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি গত ছয় বছর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন সংক্রান্ত স্টলও ঘুরে দেখেন। প্রধানমন্ত্রী জাতি গঠনমূলক কর্মকান্ড এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সংক্রান্ত প্রদর্শনীও দেখেন। বিভিন্ন স্টল পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে সে সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
শেখ হাসিনা মিগ-২৯ জঙ্গিবিমানের বর্ণাঢ্য মহড়াও প্রত্যক্ষ করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শনী স্থল জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, নৌ বাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবীব, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ এনামুল বারী এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক তাঁকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সচিব, কূটনীতিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনী আগামী ২৬ মার্চ ছাড়া প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিন প্রদর্শনী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পরিবার এবং সেনানিবাসে অবস্থিত স্কুল ও কলেজগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
৩১ মার্চ প্রদর্শনীর সমাপনী দিনে ঢাকা মহানগরের স্কুল ও কলেজগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
ছবিঃ ইয়াসিন কবির জয়