486
Published on মার্চ 1, 2015বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়ান- এর সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু রোববার একথা বলেন।
এর পাশাপাশি, তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের এক নম্বর আমদানি গন্তব্যে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী, নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়ান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল.) আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
আমির হোসেন আমু বলেন, ঐতিহাসিকভাবে চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও উন্নয়ন অংশীদার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক্ষেত্রে আরো অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৩ সালে শুধুমাত্র বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলেই চীনের বিনিয়োগ ১.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৮০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণ প্রকল্পসহ বর্তমানে বেশ কয়েকটি মেগা বিনিয়োগ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এসব প্রকল্পকাজ শেষ হলে, দু’দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ চীনকে বাংলাদেশের এক নম্বর বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশি প্রায় সকল রপ্তানি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ায় চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে। আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশ চীনে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর বাস্তবায়ন হলে, বাংলাদেশ বিশেষভাবে লাভবান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বর্তমান সরকার যেসব বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে, তাতে চীনা শিল্প স্থানান্তরের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে বলেও মন্ত্রী জানান।
কমরেড দিলীপ বড়ুয়া বলেন, পূর্বে আসিয়ান এবং পশ্চিমে সার্ক অঞ্চলের মাঝখানে অবস্থিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশ। বিগত কয়েক বছর ধরে শতকরা ৬ ভাগেরও বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে বাংলাদেশ আঞ্চলিক বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তিনি চীনের অব্যাহত সহায়তা ও সমর্থন কামনা করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়ান বলেন, প্রতিবেশি দেশগুলোর উন্নয়নে অংশীদারিত্ব জোরদার করার লক্ষ্যে চীন কাজ করছে। প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো অর্থনৈতিকভাবে ধনী হলে, চীনের উন্নয়ন প্রচেষ্টা সফল হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
তিনি চীনকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে চীনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের সাথে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো গভীর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।