505
Published on ফেব্রুয়ারি 3, 2015এ হিসেবে একজন দরিদ্র্ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৮শ’ টাকা পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ একনেক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় এটিসহ মোট ৪৪৯০ কোটি টাকার ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এর মোট ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৬৩৬ কোটি, প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৮৪৭ কোটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৭ কোটি টাকা। অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ৬টি নতুন ও ২টি পুরাতন।
দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের সহায়তা প্রকল্পে দেশের রংপুর ও ঢাকা বিভাগের ৭টি জেলার ৪২টি উপজেলার ৪৪৩টি ইউনিয়নের ১৬ লাখ পরিবার থেকে ৫ লাখ দুস্থ মহিলা বাছাই করা হবে। এ লক্ষ্যে একনেক সভায় মূলত দরিদ্র মায়েদের দারিদ্র্য নিরসনের পাশাপাশি তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে নগদ অর্থ প্রদানে “ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুরেষ্ট (আইএসপিপি)” প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার ৩৮ কোটি টাকা ও বিশ্ব ব্যাংক অবশিষ্ট ২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ঋণ দেবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১৫’র এপ্রিল থেকে ২০২০’র জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে।
প্রকল্প এলাকা নির্ধারণে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দরিদ্রতা ম্যাপকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে একনেক পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারি, জামালপুর, শেরপুর ও ময়মনসিংহ এই সাত জেলায় দারিদ্র্যের হার ৩৫ ভাগেরও বেশি। এ সব জেলায় অপুষ্টির হারও তুলনামূলক অনেক বেশি। প্রকল্প এলাকা বাছাইয়ে এ বিষয়গুলোর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪টি জেলা এ প্রকল্পের আওতায় আসবে।
প্রকল্পের নগদ অর্থ বিতরণ সম্পর্র্কে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের গর্ভকালীন মোট ৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। প্রতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২শ’ টাকা করে দেয়া হবে। এদিকে শূন্য থেকে ২৪ মাস বয়সী দরিদ্র শিশুদের প্রতিমাসে একবার শরীর বৃদ্ধির পরীক্ষা করে নগদ ৫শ’ এবং ২৫ থেকে ৬০ মাস বয়সী শিশুদের তিন মাসে একবার শরীর বৃদ্ধির পরীক্ষা করে নগদ ১ হাজার টাকা দেয়া হবে। এছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও মায়েরা প্রতিমাসে শিশু পুষ্টি ও উন্নত শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করলে প্রতিবার ৫শ’ টাকা করে পাবেন বলে পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান।
মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শিশু ও নারী মৃত্যুহার হ্রাসের পাশাপাশি শিশু ও নারী পুষ্টিও নিশ্চিত হবে।
সভায় সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের ৮টি উপজেলায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনে ৯৭৯ কোটি টাকায় ধনুয়া-এলেঙ্গা এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম তীর-নলকা গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপ লাইন প্রজেক্টের অনুমোদন দেয়া হয়। এর মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪৬৫ কোটি, জাপানী উন্নয়ন সংস্থা জাইকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ৫০৭ কোটি ও অবশিষ্ট ৭ কোটি সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৬৬ কি.মি. দীর্ঘ পাইপ লাইন নির্মিত হবে। এরফলে বিদ্যমান ও নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সারকারখানা ও অন্যান্য শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে বলে একনেক সভায় জানানো হয়। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল) ২০১৪’র জুলাই থেকে ২০১৯’র জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে।