527
Published on জানুয়ারি 26, 2015কড়া নিরাপত্তা ও র্যাতব-পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারনে দলীয় কর্মীরা হরতাল অবরোধের নামে গাড়ি ভাংচুর, যানবাহনে পেট্রোল বোমা হামলা, ককটেল নিক্ষেপ ইত্যাদি নাশকতামূলক অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানালে নেতারা পেশাদার সন্ত্রাসীদের দারস্থ হচ্ছে।
বিএনপি-জামাতের নেতারা কিভাবে ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে যাত্রাবাড়িতে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছে তা পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারকৃত একটি ফোনালাপে প্রকাশ পেয়েছে। এই হামলায় ২৮ জন নিরীহ মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। স্বনামধন্য এক গনমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এই হামলার কিছুদিন আগে একজন বিএনপি নেতা ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের ব্যাপারে তার এক কর্মীকে অবহিত করেন।
একটি বড় কাজ চাই। এত টাকা দিলাম, সেইভাবে কোনো কাজ হচ্ছে না। বারবার টাকা নিলেও অনেকে কথা রাখে না।' ৮ দিন আগে ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতার টেলিফোন কথোপকথন ছিল এটি।
ফোনের এপাশ থেকে বলা হয়, 'ভাই ৬০ শতাংশ লস প্রজেক্ট ধরেই মাঠে নামতে হবে। সবাই সমান কাজ করবে না। এখন দলের অনেকেই কাজ করতে রাজি হচ্ছে না। তাই একটি পেশাদার ছিনতাইকারী দলকে ভাড়া করেছি। ওরা প্রতি কাজে ১৫ হাজার টাকা দাবি করছে।'
প্রকাশিত খবরে আরো বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন শীর্ষ নেতাকে সম্প্রতি দলটির কেন্দ্রীয় এক নেতা বোমাবাজি করতে নির্দেশ দেন। দক্ষিণের ওই নেতা বোমাবাজি করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিলে 'পদ' কেড়ে নেওয়ারও হুমকি দেন ওই শীর্ষ নেতা। যাত্রাবাড়ীতে হামলার ঘটনায় ওই শীর্ষ নেতারও ইন্ধন রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।