519
Published on জানুয়ারি 24, 2015প্রধানমন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় অফিসের গেট ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় তিনি ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। অফিস থেকে বেরিয়ে এসে কেউ তাঁকে অভ্যর্থনাও জানায়নি এবং কেউ কোন বক্তব্য দেয়নি।
বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো আজ মালয়েশিয়ায় মারা যান। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গেলে এমন ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের জানান, ‘বিএনপি চেয়াপার্সনের কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে কিছু সময় অপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীকে চলে যেতে হলো। এমনিভাবে চলে যাওয়া আমাদের রাজনীতিতে শিষ্টাচার বলে না, ভদ্রতা বলে না।’
তিনি বলেন, ‘একজন মা ও একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে ছুটে গিয়েছিলেন আরেকজন মাকে সমবেদনা জানাতে। তাঁকে এই যে দেখা করতে দেয়া হলো না এর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অশিষ্টাচারের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।’
দুঃসময়ে ঘটা করে কিছু বলা যায় না, দুঃসময়ে সময় করে আসা যায় না। প্রধানমন্ত্রী দুঃসময়ে স্বাভাবিকভাবেই ঘটা করে আসেননি। তিনি ঘটনা শুনেছেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথেই ছুটে এসেছেন।
'ব্যক্তিগতভাবে তিনি নিজে এসেছেন, কাউকে পাঠাননি। তিনি সকল প্রটোকল, নিরাপত্তা ভেদ করে একজন মায়ের মতো, একজন রাজনীতিবিদের মতো এখানে এসেছেন। কিন্তু যে শিষ্টাচার অপর পক্ষ দেখিয়েছে আমি তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করি। এর মাধ্যমে তারা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত করেননি, মায়ের যে আকুতি, রাজনীতিবিদদের যে শিষ্টাচার, তাকেই অপমান করা হয়েছে।’
তিনি ব্যক্তিগতভাবে ছুটে এসেছিলেন এটাই শিষ্টাচার ও মানবিকতা। কিন্তু যে আচরণটি তিনি পেলেন, তা কারোর জন্যই ইতিবাচক নয়।