554
Published on জানুয়ারি 20, 2015জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংস্থা ইসলামি ছাত্র শিবিরের (ইসলামি ছাত্র শিবির যারা ২০১৩ সালে শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে) পাঁচ জন নেতা-কর্মীকে ১৩০ টি বোমা ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম সহ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের মহাখালী থেকে আটক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে ইসলামি ছাত্র শিবিরের বনানী শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান (২৩) ও জয়নাল আবেদিন (২০), আরিফুজ্জামান আরিফ (১৮), আতিয়ার রহমান (২২) এবং খালিদ সাইফুল্লাহ নামক শিবিরের আরও চার কর্মী। বোমা উদ্ধারের পাশাপাশি ১ কেজি গান পাউডার, ১০ কেজি পাথরের গুড়ো, তিন কেজি পেরেক এবং ২ লিটার পেট্রোলও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে (সূত্রঃ bdnews24.com, ২১/০১/২০১৫)।
১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিবিরের আরও কিছু নেতা-কর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ইছাইকার পুল এলাকা থেকে আনুমানিক রাত ৮টার দিকে কবির হোসেন (১৮) এবং সোহেল (১৮) নামক আরও দুই শিবির কর্মীকে দুইটি পেট্রোল বোমা এবং একটি ককটেল সহ আটক করা হয়।
জানা গেছে, তারা ওই সময়ে যাত্রীবাহী যানবাহনে আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তাজা ককটেল সহ আরও এক শিবির কর্মীকে আটক করা হয় নগরীর সার্শন রোড এলাকা থেকে। (সূত্রঃ bdnews24.com, ১৮/০১/২০১৫)।
রংপুরে মিঠাপুকুরে যাত্রীবাহী বাসে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে মা-ছেলে সহ পাঁচ জন জায়গায় পুড়ে মারা যান। এরপরে পুলিশের অভিযানে আটক ১৭জন জামায়াত-শিবির কর্মী এই ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে (সূত্রঃ সমকাল, ১৫/০১/২০১৫)।
অন্য আর এক ঘটনায় আটককৃত অনুপম চন্দ্র রায় (২৪) নামক আটককৃত একজন ছাত্রদল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মী স্বীকার করে যে সে দুইটি বড় ধরণের নাশকতার সাথে যুক্ত ছিল যার মধ্যে ডিসেম্বর ২৪ তারিখে সংগঠিত একটি পেট্রোল বোমার আক্রমণও ছিল যে ঘটনায় দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত হন তিন জন এবং আরও তিন জন গুরুতর আহত হন। সে আরও স্বীকার করে যে মোহম্মদপুর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম নয়ন এবং সোহেল এবং ছাত্রদলের শীর্ষ নেতা ফিরোজ তাকে এই কাজের জন্য নির্দেশ ও টাকা দিতো।
এই অপরাধ চক্রের মাধ্যমেই ছাত্রদল অনুপমের মতো এরকম উচ্চাভিলাষী যুবকদের সাধারণ জনগণের উপর বোমা, পেট্রোল বোমা ও বিভিন্ন আক্রমণের কাজে ব্যবহার করে থাকে। এমনকি নয়নের মতো যারা বিভিন্ন জায়গায় হত্যা ও ভাংচুরের সাথে জড়িত আছে তাদেরকে নাশকতা ও মানুষ হত্যার কার্যক্রমের উপরে নির্ভর করে দলের বিভিন্ন বড় বড় পদ দেওয়া হয়ে থাকে। নয়ন এবং ফিরোজের মতো নেতারা এই ধরনের জ্বালাও-পোড়াও করানোর জন্য দলের আরও উঁচু পর্যায়ের থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত হয় বলেও জানা যায়। (সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ১৬/০১/২০১৫)।