1373
Published on জানুয়ারি 20, 2015প্রকল্পের অধীনে ২১.৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ডুয়েল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এতে প্রতিদিন এই রুটে ৭৬টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। ট্রেনগুলোতে প্রতিদিন ৭৬ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর শেরে বাংলানগরে একনেক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এএইচএম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, আজ একনেক বৈঠকে ৩৭৮.৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন ডুয়েল গেজ নির্মাণসহ ১,০৩১ কোটি টাকার মোট ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে। মোট প্রকল্প ব্যয় ১,০৩১ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে পাওয়া যাবে ৬৯৫.৬২ কোটি টাকা। বাকি ৩৩৬.০৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে।
মন্ত্রী বলেন, ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে দুটি প্রকল্প নতুন। বাকি চারটি সংশোধিত প্রকল্প। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পের অধীনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্তমানের মিটার গেজ রেলপথের পাশাপাশি ২১.৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ডুয়েল গেজ রেলপথ প্রকল্পের জন্য মোট প্রকল্প ৩৭৮.৬৬ কোটি টাকার মধ্যে সরকার দেবে ১২৯.১১ কোটি টাকা। বাকি অর্থ ২৪৯.৫৫ কোটি মঞ্জুরি সহায়তা হিসেবে দেবে জাপান।
রেল মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন এই রুটে ৭৬টি ট্রেন চলাচল করবে। এতে ব্যস্ততম এই রেলপথে দাঁড়ানো যাত্রীসহ প্রতিদিন প্রায় ৯৩ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
একনেক বৈঠকে ৬৩.০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে লেবার টাওয়ার নির্মাণ শিরোনামে আরো একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। রাজধানীর সৈয়দ শহীদ নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে ২০ ডেসিমল জমির উপর ২৫ তলা বিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মাণ করা হবে। ২০১৭ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এটি হবে রাজধানীতে সবচেয়ে উঁচু সরকারি ভবন।
একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া অপর প্রকল্পগুলো হলো ২১৭.৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম সংশোধিত পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের উন্নয়ন প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ-কাজিরপুর-ধুনট সড়কে তিনটি পিসি গিরদার ব্রিজ এবং তিনটি বেইলি ব্রিজের উন্নত কাঠামো নির্মাণ, সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং ২৯৪.৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১১টি মাধ্যমিক ও ছয়টি কলেজ প্রতিষ্ঠা।
বৈঠকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যগণ ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।