2116
Published on জানুয়ারি 12, 2015প্রস্তাবিত এই আইনে যে কোনো স্থানীয় ও বিদেশী নাগরিকের বৈদেশিক মুদ্রা ও সিকিউরিটিজ এবং অস্থাবর বা অন্যান্য সম্পত্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সরকারকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, খসড়ায় কোনো বিদেশী সংস্থার ফরেন এক্সচেঞ্জ এজেন্সির লাইসেন্স নেয়া এবং শাখা ও লিয়াজোঁ অফিস খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের আগাম অনুমতি নেয়ার বিদ্যমান আবশ্যিক বিধান রহত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বোর্ড অনুমতি দেবে এবং বিষয়টি ৩০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করা হবে যাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বৈদেশিক মুদ্রা ও সিকিউরিটিজের লেন-দেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
মোশাররফ হোসাইন বলেন, ১৯৪৭ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশনের আওতায় বর্তমান বিদেশী মুদ্রা বুল্লিয়ন (স্বর্ণ ও অন্যান্য) মূল্যবান ধাতু লেনদেন হয়। আইনটি ১৯৭৬ ও ২০০৩ সালে সংশোধিত হয়।
সচিব বলেন, বিদেশী বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রার লেন-দেন বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যমান আইনের সংশোধনী প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনটি সংশোধনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি কমিটি বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশসহ অন্যান্য দেশের এ সম্পর্কিত আইন পর্যালোচনা করে এই প্রস্তাব প্রণয়ন করে। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। মতামতের জন্য এটি ওয়েবসাইটেও দেয়া হয়। তবে মতামত সংখ্যা ছিলো খুবই কম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব নতুন আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বর্তমান আইনের সামান্য সংশোধনী আনা হয়েছে। আইনটি বাংলাদেশে বসবাসরত দেশী ও বিদেশী নাগরিক উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
তিনি বলেন, খসড়া আইনে সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনেক পরিভাষার সঙ্গায়িত করা হয়েছে। এতে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে ইলেকট্রোনিক লেনদেনের আওতায় আনতে মুদ্রা, রফতানি, আমদানি পণের সঙ্গায় কর্মসম্পাদনার ধারণা সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে আইন লংঘনের ঘটনায় ফরেন এক্সচেঞ্জ ভিলারের বিরুদ্ধে জরিমানা করার ক্ষমতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আইনে ফরেন এক্সচেঞ্জ এজেন্সির লাইসেন্স নেয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয়ার বিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বোর্ড (বিওআই) অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এজেন্ট হিসেবে কাজ করার অনুমতি দিতে পারে।
কোনো বিদেশী প্রতিষ্ঠানের শাখা অথবা লিয়াজোঁ অফিস খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয়ার বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সময় সাশ্রয় এবং বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিনিয়োগ বোর্ডকে (বিওআই) দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভা কূটনীতিক ও সরকারি পাসপোর্ট ভিসা নেয়া সংক্রান্ত বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুমোদনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুয়ালালামপুর সফরকালে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।