458
Published on ডিসেম্বর 28, 2014শ্রীলংকায় রপ্তানির উদ্দেশ্যে চালবোঝাই বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের কার্গো জাহাজ এমভি বাংলার কাকলীকে বিদায় জানাতে চট্টগ্রাম বন্দরের তিন নম্বর জেটিতে উপস্থিত হন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সরওয়ার খান। এসময় খাদ্য অধিদপ্তরের অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় শ্রীলংকার হাই কমিশন সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উভয় দেশের সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধ চাল নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ‘চতুর্থ এগ্রো বাংলাদেশ এক্সপো’র অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ শ্রীলংকায় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন চাল রপ্তানির কথা জানান।
বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি পাওয়ার পর সেপ্টেম্বরে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগতভাবে শ্রীলংকায় চাল রপ্তানির অনুমোদন দেয়। বর্তমানে সেখানে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ায় চাল খালাসে অসুবিধা হবে বিধায় শ্রীলংকা আপাতত প্রথম পর্যায়ে ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল সরবরাহ নেবে। পরবর্তীতে সুবিধামতো সময়ে শ্রীলংকা বাকি চাল কিনবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সরকারি গুদামে ১১ লাখ মেট্রিক টন চালের মজুদ ছিল, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন বেশি। এ অবস্থায় দেশে চালের উৎপাদন ও সরকারি গুদামে মজুদ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে খাদ্য অধিদপ্তর ৫০ হাজার থেকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল রপ্তানি করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিল।
এরপর চলতি বছরের ৩ ডিসেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার এবং শ্রীলংকা সরকারের মধ্যে চাল রপ্তানির বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সারওয়ার খান এবং শ্রীলংকার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন লংকা সাথোসা লিমিটেড’র চেয়ারম্যান নালীন ফারনান্ডো। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪৫০ ইউ এস ডলার।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য গুদামে মজুদ আছে, যা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন বেশি। বাংলাদেশ যেকোন দেশের চাহিদা মোতাবেক ১ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল রপ্তানি করতে প্রস্তু্ত রয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ দশমিক ৮২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ১১দশমিক ৫১ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং এক দশমিক ৩১ মেট্রিক টন গম। এছাড়া শূণ্য দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।