1192
Published on ডিসেম্বর 16, 2014নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার সকালে সাধারণ পরিষদের এক সভায় উপস্থিত সকল সদস্য-রাষ্ট্রের সমর্থনে এটি প্রস্তাব আকারে গৃহীত হয়।
নিউইয়র্কের জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে আজ একানে প্রাপ্ত এক বার্তায একথা বলা হয়।
এ বছর ৯৭টি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রস্তাবের কো-স্পন্সর ছিল। ২৫টি দেশ এই প্রস্তাবের উপর বক্তব্য দিয়েছে।
প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ,কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই প্রস্তাবের মূল শ্লোগান হচ্ছে- মানুষের অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা কমালে স্থায়ী শান্তি আসবে।
এ বছরই প্রথম অনেকগুলো ইউরোপীয় দেশ কো-স্পন্সর করেছে। এবারের প্রস্তাবে যুবশক্তি ও নারীর জন্য কার্যপ্রক্রিয়া ও আচরণ নির্দেশনা যোগ হয়েছে। আগের মতই এনজিও এবং সিভিল সোসাইটি সম্পর্কে নির্দেশনা ছিল।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক টানা পোড়েনের মাঝে এবং গণ মাধ্যমের নেতিবাচক প্রচারের পরও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের বিপুল সমর্থন এটাই প্রমাণ করে, বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতি বিশ্ববাসীর গভীর আস্থা রয়েছে । দ্বিতীয়ত: জাতীয় উন্নয়নে সকল মানুষকে সম্পৃক্ত করার জন্য ‘শান্তির সংস্কৃতি’র বিকল্প নেই। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের এই প্রস্তাবে একযোগে কাজ করার অংগীকার ব্যক্ত করেছেন। এই প্রস্তাবে বিশ্বের প্রতিটি মহাদেশের সমর্থন ছিল। বিগত বছরের তুলনায় এবার বিপুল সংখ্যক সমর্থন ছিল ।
জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্যে ড. আব্দুল মোমেন বলেন, মানুষের জন্য স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য ধর্ম, বর্ণ ও জাতি গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সমাজের বিশেষ নজরে আনতে হবে। শিক্ষার প্রসার এবং একদর্শী চিন্তাধারার পরিবর্তন করে মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। সামগ্রিক চিন্তার কেন্দ্র বিন্দুতে মানবকল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।
শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ক প্রস্তাবটি ১৯৯৯ সালে প্রথম উপস্থাপিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘শান্তির সংস্কৃতি দশক’ বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। ২০০১ থেকে প্রতি বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে আসছে এবং তা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে।