542
Published on ডিসেম্বর 1, 2014ভারত তার ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানি থেকে বাংলাদেশে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রয়ের চুক্তির শেষ পর্যায়ে রয়েছে, এবং আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিক্রয়ের ব্যাপারেও আলোচনা চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাবার প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আরো বিদ্যুৎ নেবার ব্যাপারে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী এবং প্রাকৃতিক সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি বীর বিক্রম।
বাংলাদেশ আগামী বছরগুলোতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো যেমন, ভারত, নেপাল এবং ভূটান থেকে আরো ৫০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানীতে আগ্রহী।
“আমরা এখনও এই চুক্তিতে কেনা বিদ্যুতের উপর শুল্কের পরিমাণ নির্ধারণ করিনি তবে আশা করছি তা আমাদের জন্য অনুকূলই হবে”, সি চৌধুরী বলেছেন। ত্রিপুরা সফরে গিয়ে তিনি রিপোর্টারদের জানান, বাংলাদেশ পিক আওয়ারে প্রায় ৫-১০% বিদ্যুৎ ঘাটতিতে পড়ে আর অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে তাল মিলিয়ে চাহিদা আরো বাড়বে। ভরযুক্ত গড় শুল্কে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ক্রয়ের ফলে বর্তমানে ইউনিট প্রতি ৬.৫ টাকা।
চৌধুরী জানান বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিবছর ৬% হারে বাড়ছে এবং এর ফলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনাটা বেশ প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এনটিপিসি থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনছে। বর্তমানের আলোচনা চলমান চুক্তি দুটো সম্পন্ন হবার পরে ভারত থেকে বাংলাদেশ আরো ১১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। ভারতের জন্য, বাংলাদেশ একটি উন্মুখ বাজার তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উৎপাদিত বিদ্যুতের জন্য, যেখানে নিজের দেশে ভৌগোলিক ভাবেই তারা প্রায় বিচ্ছিন্ন তাদের শিল্প বলয় থেকে।
চৌধুরী এখন ভারতের ত্রিপুরায় আছেন সেখানে পালাটানায় তাদেরও এনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানি (ওটিপিসি)কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ তার জ্বালানী খাতে সহায়তা খুঁজছে যাতে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান বা ভারতের সাথে যুগ্মভাবে জলবিদ্যুত ও উৎপাদন করা যায়।