520
Published on অক্টোবর 29, 2014প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তাঁর ত্রাণ ও ক্যল্যাণ তহবিল থেকে এ দুই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার এই চেক ও সঞ্চয়পত্র বিতরণ করেন।
তিনি প্রথমে রানা প্লাজায় নিহত ২২ জনের প্রত্যেক পরিবারকে ২ থেকে ১০ লাখ টাকা করে চেক ও সঞ্চয়পত্র দেন। এরপর তাজরীনের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১২ জনের প্রত্যেক পরিবারের হাতে ৭ লাখ টাকা করে চেক ও সঞ্চয়পত্র তুলে দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের যোগান দেয়া ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে তাজরীন ফ্যাশনের দুর্ঘটনায় নিহত এ ১২ জনের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়।
দুর্ঘটনা দু’টিতে নিহত ব্যক্তিদের সন্তান, স্ত্রী ও পিতা-মাতা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই সহায়তার চেক ও সঞ্চয়পত্র গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন ও তাদের কুশল জিজ্ঞাসা করেন।
এসময় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এক দুর্ঘটনায় আহত একজনকে হুইল চেয়ার প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থার প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু. প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী ও বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে এ পর্যন্ত ২২ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৭২০ টাকার আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ওল্ড রাজশাহী ক্যাডেট এসোসিয়েশন দুই দুর্ঘটনার ১৬ ছেলে-মেয়ে এবং আঞ্জুমান মাফিদুল ইসলাম ১২ ছেলে-মেয়ের থাকা-খাওয়া ও শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। তাদের ২১ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত এই সহায়তা দেয়া হবে।
এদিকে দুর্ঘটনা দু’টিতে গুরুতর আহত ৪০ জনের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫জন নিহত ও অনেকে আহত হন। এর আগে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১১১জন নিহত হন।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)