437
Published on সেপ্টেম্বর 28, 2014এখানে গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হোটেল স্যুটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে প্রথম বৈঠকে নরেন্দ্র দামোদর মোদি বলেন, ‘আমি স্থলসীমান্ত চুক্তি ও তিস্তার পানিবন্টন চুক্তির সমাধান করতে অত্যন্ত আন্তরিক। আমি এসব বিষয় নিষ্পত্তির উপায় খুঁজছি।’
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, খুবই উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতে মধ্যে স্থলসীমান্ত ও তিস্তার পানি বন্টনসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলো উত্থাপন করে বলেন, আমরা এসব সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি আশা করি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে নয়াদিল্লী সবসময় ঢাকার পাশে রয়েছে।
দুই প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলো এক সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এক সঙ্গে উন্নয়নের এই বার্তা আমার পূর্বমুখী পলিসিতে (লুক ইস্ট পলিসি) গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মায়ানমারের অর্থনৈতিক করিডোরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা অপসারণের আহবান জানালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাঁর সঙ্গী কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন।
নরেন্দ্র মোদি এ অঞ্চলে ধর্মীয় পর্যটনের বিকাশ ও সার্ক স্যাটেলাইট চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গড়েছেন এবং তাঁর কন্যা বাংলাদেশ রক্ষা করছেন।
দুই প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনে ঐকমত্য পোষণ করে বলেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলাদেশ সফরের অপেক্ষায় রয়েছেন। এ লক্ষ্যে কর্মকর্তা পর্যায়ে আলোচনা চলছে এবং শিগগিরই তিনি বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)