বিএনপি সমাজে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চালাচ্ছেঃ প্রধানমন্ত্রী

505

Published on সেপ্টেম্বর 20, 2014
  • Details Image

তিনি বলেন, ‘গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি এবং তার দোসরেরা সারা দেশে নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃস্টি করছে। তারা দেশে দেশে বিভিন্ন অপকর্ম করছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।’

আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জামাতের পাঁচ বছরের দু:শাসনে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এখন তারা আবার জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠায় অশুভ তৎপরতা চালাচ্ছে এবং গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে চাইছে।

আজ বিকেলে তার সরকারি বাসভবন গণ ভবনে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টামন্ডলীর যৌথ বৈঠকে সুচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন দেশ সুন্দরভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আরো সামনে এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ‘অতীতে আমাদের অনেক ষড়যন্ত্র এবং ঘাত প্রতিঘাত মোকাবেলা করতে হয়েছে এবং সকল বাধা এবং ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বদ্ধ পরিকর।’

গত সাধারণ নির্বাচনে দেশব্যাপী বিএনপি জামাতের ব্যাপক নৈরাজ্যের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আগুনে পুড়িয়ে নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে, তারা ব্যাপক ভাংচুর ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। এছাড়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ব্যর্থ করতে তারা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, কর্মী ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা আন্দোলনের নামে রেলওয়ের ফিস প্লেট উত্তোলন, ট্রেন ও বাসে অগ্নিসংযোগ এবং গাছ কেটে দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।

তিনি বলেন, কিন্তু সাধারণ জনগণ তাদের রাজনৈতিক আন্দোলনে সাড়া দেয়নি এবং নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। যা উন্নয়নশীল দেশের জন্য বিরল।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রধান বিএনপি-জামাতের নাশতামূলক কর্মকান্ডে সাড়া না দিয়ে সাধারণ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করায় তিনি দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের রায় নিয়ে আবার ক্ষমতায় এসে তার সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করে।

শেখ হাসিনা গত পাঁচ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি ও আইসিটি খাতে তার সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, তার সরকার বিনামূল্যে ৩১ কোটি পুস্তক বিতরণ করে এবং মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্ধীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করে। এখন অভিভাবকদের আর তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যাপারে চিন্তা করতে হয় না।

এ ছাড়া সরকার স্বাস্থ্য সেবা এবং আইসিটি সেবা পল্লীর জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশ ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

দারিদ্র্য বিমোচনে একটি বাড়ি একটি খামারসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে পাঁচ বছরে এ ধরনের কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের কারণে নি¤œ আয়ের পাঁচ কোটি লোক মধ্য আয়ের সামর্থ অর্জন করেছে।


এছাড়া, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সরকার সকলের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করতে এই কর্মসূচি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

তিনি বলেন, তার সরকার দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহনের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে এবং সাতটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে। এছাড়া সরকার দেশে আরো ১৩টিরও বেশি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর অনুসারি হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল আর্থ সামাজিক মুক্তির মাধ্যমে দেশের সাধারন মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।

প্রধানমন্ত্রী ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিজয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ‘ব্লু ইকোনোমি’র আওতায় কাজ করে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দলকে শক্তিশালী করতে এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করতে ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত করতে কঠোর পরিশ্রম করার আহবান জানান।

-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত