416
Published on আগস্ট 5, 2014প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক এর এক সভায় এ চার প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকের পর পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে দেয়া হবে ৫শ’ ৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে আসবে ১শ’ ৫৬ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, সভায় ৩শ’ ৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ বরিশাল বিভাগীয় কার্যক্রম-১ (প্রথম সংশোধন) প্রস্তাব’ শীর্ষক একটি সংশোধিত প্রকল্প পাস হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ২শ’ ৬৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। প্রকল্পটিতে আইডিবি’র ২ কোটি মার্কিন ডলারের প্রকল্প সাহায্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঋণ চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় ২০১৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। পরে ২৪ জুন ২০১৪ তারিখে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আইডিবি’র চুক্তিটি চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্যে সংশোধিত প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘মুদ্রার বিনিময় হার ২০১০ সালের তুলনায় বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে প্রকল্পটির বর্তমান ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে ৩শ’ ৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে, পূর্বে যা ২শ’ ৬৭ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা ছিল।
এ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ২শ’ কি.মি. নতুন বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ ও ৩শ’ কি.মি. লাইন সংস্কার করা হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সকল গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে হলে বরিশাল বিভাগে ২ হাজার ২শ’ কি. মি. নতুন লাইনের পাশাপাশি আরও ৭ হাজার ৩শ’ কি.মি. নতুন লাইন নির্মাণ করতে হবে।’
একনেক সভায় ৪৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ব্রিড আপগ্রেডেশন থ্রু প্রজেনি টেস্ট (৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পও পাস হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল ভিশন ২০২১ অনুয়ায়ী বাংলাদেশে দৈনিক জনপ্রতি ১৫০ মি.লি. দুধপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে দুধ উৎপাদন বছরে ৩ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত করা।
প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর এ প্রকল্প ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন করবে।
একনেকে আরো দুটি সংশোধিত প্রকল্প পাস হয়েছে। এগুলো হল- ১শ’ ৯৮ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলা এবং তৎসংলগ্ন এলাকাকে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন থেকে রক্ষাকল্পে নদী তীর সংরক্ষণ (১ম পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ১৯ টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প।
সভায় মন্ত্রিবর্গ, প্রতিমন্ত্রীগণ, সচিববৃন্দ ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)