গার্ল সামিটে যোগ দিতে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

537

Published on জুলাই 21, 2014
  • Details Image

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক এ্যান্থনি লেক-এর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য সফরে গেছেন।

আগামীকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের রাজধানীতে অনুষ্ঠেয় এ সামিটে প্রধানমন্ত্রী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ২০ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।

বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় আজ বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

য্ক্তুরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েস, ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন এবং বিএফআইডি’র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক পরিচালক এ্যান্থনি স্মিথ বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে লন্ডনের হিলটন হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সেখানেই অবস্থান করবেন। এর আগে শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীরা সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

বিমানবন্দরে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। এসময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার এটি হবে প্রথম কোনো ইউরোপীয় দেশ সফর।

ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (এফজিএম) এবং শিশু, বাল্য ও জোরপূর্বক বিবাহ (সিইএফএম) অবসানে যুক্তরাজ্য সরকার এবং ইউনিসেফ যৌথভাবে এযাবতকালের প্রথম এই গার্ল সামিট আয়োজন করছে।

এই বৈঠক বালিকাদের বাল্য ও জোরপূর্বক বিবাহ বন্ধ, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান, নিরাপদ শিশু জন্মদান, নারীর কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং ভূমি ও উত্তরাধিকার প্রাপ্তিতে আইন সংস্কারেও সহায়তা করবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫২টি দেশের প্রতিনিধিরা এ সামিটে যোগ দিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষসম্মেলনের উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনে যোগদান এবং বার্কিনা ফাসোর ফার্স্ট লেডি চান্টাল কম্পাওরে ও পাকিস্তানের বিখ্যাত শিক্ষা অনুরাগী মালালা ইউসুফ জাই’র সঙ্গে আলোচনার কর্মসূচি রয়েছে। উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনটি সঞ্চালন করবেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক এ্যান্থনি লেক।

সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বহুপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং পার্লামেন্টে বিরোধী দলের ছায়া মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন- যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী জাস্টিন গ্রিনিং এবং ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডগলাস আলেকজান্ডার।

বুধবার স্বদেশ ফেরার প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক ও প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী।

বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ নির্মূলের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা শীর্ষসম্মেলনে তুলে ধরা হবে।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাল্যবিবাহ রোধে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী রোববার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সে দেশের জনগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় স্থান পাবে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত