549
Published on জুলাই 10, 2014গ্যাসপ্রোম ইন্টারন্যাশনালের সিইও ভ্যালেরি গুলেভের নেতৃত্বে কোম্পানীর একটি প্রতিনিধিদল আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আহবান জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গ্যাসপ্রোম দেশের সমতল ভূমি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উপকূলীয় এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাপেক্সের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
গ্যাসপ্রোম সিইও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে তার কোম্পানী বাংলাদেশে গ্যাসের উৎপাদন ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ১০টি গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নে বাপেক্সকে সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া গ্যাসপ্রোম বাপেক্সের সঙ্গে এ দেশে আরো দুটি গ্যাস ক্ষেত্রের উন্নয়ন করবে।
ভ্যালোরি আরো উল্লেখ করেন, রাশিয়ায় গ্যাস ও মেডিকেল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আরো বৃত্তি প্রদানের জন্য তিনি তার সরকারকে অনুরোধ জানাবেন।
গ্যাসপ্রোমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশের বাইরে মায়ানমারের মতো তৃতীয় কোনো দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
গ্যাসপ্রোম সিইও পর পর দ্বিতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি দেশের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য তাঁর গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দেশে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বাপেক্সের সঙ্গে গ্যাসপ্রোমের যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের যৌথ বিনিয়োগ বাস্তবসম্মত হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্পদ অথবা আর্থিক ক্ষেত্রে বাপেক্সের কিছুটা সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। তবে তাদের যথেষ্ঠ জনবল রয়েছে, যারা এ খাতে কাজ করতে পারে।
শেখ হাসিনা তৃতীয় কোনো দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব পরবর্তী পর্যায়ে বিবেচনার কথা বলেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়ার অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু। যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে তারা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং মুক্তিসংগ্রাম চলাকালে তাদের বেশ কয়েকজন প্রাণ দিয়েছেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব আবুল কালাম আজাদ, রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম সাইফুল হক, বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ নিকোলায়েভ এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গ্যাসপ্রোম একটি আন্তর্জাতিক জ্বালানি কোম্পানী। তারা ভূতাত্ত্বিক অনুসন্ধান এবং গ্যাস উৎপাদন, সরবরাহ, মজুদ, প্রক্রিয়াকরণ ও গ্যাস তরলীকরণের পাশাপাশি হিট ও ইলেকট্রিক পাওয়ার উৎপাদন ও বিক্রি করছে।
গ্যাসপ্রোমের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে। গ্যাসপ্রোম বিশ্বের ১৪ শতাংশ এবং রাশিয়ার ৭৪ শতাংশ গ্যাস উৎপাদন করে।