সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণঃ প্রধানমন্ত্রী

515

Published on জুলাই 8, 2014
  • Details Image

একটি দেশ গড়তে যা প্রয়োজন তার প্রধান প্রধান দিকগুলো তুলে ধরলেন ৪৪ মিনিটের বক্তৃতায়। বিষয়গুলোর গভীরে গিয়ে প্রথমে প্রয়োজনীয়তা ব্যাখা করলেন, এরপর করণীয় নির্দেশনা দিলেন এবং বিষয় ভেদে আহ্বান, অনুরোধ কিংবা নির্দেশ দিয়ে গেলেন একের পর এক।

মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনছিলেন সবাই। সারাদেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক, সাত বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিসভার সদস্য আর সংবাদমাধ্যমের কর্মীতে ঠাসা ছিলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষটি। তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলছিলো সেখানে। প্রধানমন্ত্রীই প্রধান অতিথি।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় দেশ গড়ার স্বপ্ন রচনা করে যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করলেন জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। আর তার পাশাপাশি যে মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই স্বাধীন দেশটি তাদের স্মরণ করতেও ভুললেন না।

সংবাদকর্মীদের কাছে যে লিখিত বক্তৃতাটি সরবরাহ করা হয়েছিলো, স্বভাবসুলভ ভঙিমায় খুব দ্রুতই তার কাঠামো থেকে বের হয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। মাঠ পর্যায়ে সরকারের নীতি, কৌশল ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে এবং নাগরিকের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন, এই প্রথম একটি নির্বাচিত সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব দিয়েছে।

যারা এই বক্তব্যে রাজনীতির গন্ধ খুঁজতে চাইছিলেন তাদের হতাশ করে প্রধানমন্ত্রী পরপরই তুলে ধরলেন এমন একটি সরকারের জন্য অর্থনৈতিক গুরুত্বের দিকটি। বললেন, একটি সরকার যখন দ্বিতীয় দফায়ও দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পায় তখন উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন ও ত্বরান্বিত করা সহজ ও সাবলীল হয়। নিজের সরকারের গত দফায় নেওয়া অনেক উন্নয়ন কাজ এখন শেষ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বাধীনতার পরপরই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হাতে নিয়ে দেশকে দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়নের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন সেই পরিকল্পনা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যেতে চান বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি-জামায়াত আমলে এই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে পাশ কাটিয়ে যে স্বল্পমেয়াদী উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হতো তার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বললেন, দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে তার সরকার পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ফিরে যায়।

ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না প্রধানমন্ত্রী। তাদের নিরলস পরিশ্রমে দেশ একটি উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা পেয়েছে। ২০১৫ সালে এই পরিকল্পনার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের এই পরিকল্পনায় নতুন উদ্ভাবনী ধারনা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একটি জাতির উন্নয়নে এসব দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বললেন, তার সরকার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় বিশ্বাসী। উল্লেখ করলেন, রূপকল্প ২০২১ এর কথা। এই সময়ের মধ্যে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে তার পরিকল্পনার কথা বললেন, উল্লেখ করলেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কিভাবে একটি উন্নত সম্মৃদ্ধ দেশ হবে তার পরিকল্পনার কথাও।

এভাবেই স্বপ্ন বুনে চললেন প্রধানমন্ত্রী। এলো দেশের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, খাদ্য নিরাপত্তা আশ্রয়ন প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার, ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বিতরণ ও কর্মসংস্থান বাস্তবায়নের কথা। প্রতিটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গভীর উপলব্দি ও উত্তরণের সুনির্দিষ্ট পথ নিয়ে কথা বললেন।

প্রথমেই এলো আশ্রয়ন প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার ইচ্ছা দেশের একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে ‍না। প্রতিটি জেলায় গৃহহীনদের তালিকা প্রণয়নে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের জন্য একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত করতে হবে। যাতে একটি মানুষও গৃহহীন না থাকে। এটা আমার নির্দেশ হিসেবে নেবেন, জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী।

এলেন খাদ্য নিরাপত্তা প্রসঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ষাকালেও খাদ্যের কোনো সঙ্কটে নেই দেশ। বর্ষার দিনে লাউ, কুমড়া, গাজরের কথা আগে মানুষ চিন্তাও করতে পারতো না কিন্তু আধুনিক কৃষি পদ্ধতি আর চাষীদের নিরলস শ্রমে এখন সবকিছুই মেলে।

‘অসম্ভবকে সম্ভব করতে বাঙালি জাতিই পারে’, বলেন একজন গর্বিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গবেষণার মাধ্যমে উচ্চফলনশীল ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করা হয়েছে। চাষীরা সে অনুযায়ী ফসল ফলাচ্ছেন ফলে খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই।

উত্তরবঙ্গের কোনো কোনো স্থানে প্রতিবছর মঙ্গা দেখা দিতো, সে কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মঙ্গা শব্দটিই আজ মানুষ ভুলে গেছে।

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিএফ, ভিজিডির কথা উল্লেখ করে বলেন, এসব ভাতা অব্যাহত থাকবে। তবে যারা এই ভাতা বৃদ্ধির পক্ষে নন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাতা এমন হতে হবে যাতে মানুষগুলো ভাতের নিশ্চয়তা পায়। কিন্তু বেশি না দিয়ে তাদের নিজেদের কিছুটা কাজ করতে উপার্জন করতে সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বয়োবৃদ্ধদের কতা আলাদা, কিন্তু কর্মক্ষম বিধবা ও দুস্থ জনগোষ্ঠী যাতে শুধু ভাতার ওপর নির্ভরশীল না থেকে নিজেরাও কিছু উপার্জন করে সেদিকে নজর দিতে হবে, বলেন শেখ হাসিনা।

এছাড়া দুস্থ জনগোষ্ঠীর একটি ডাটাবেজ প্রণয়নের কথাও বললেন প্রধানমন্ত্রী। একই জন একাধিক নামে সুবিধা নিচ্ছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। কারো কারো নামে ভাতা তুলে অন্যরা তসরুপ করছেন এমন উদাহরণ ও অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানালেন, বিরোধী দলে থাকা কালে দুঃস্থ মানুষের সঙ্গে মিশে তিনি নিজেই এসব অভিযোগের কথা শুনেছেন। একটি ডাটাবেজ থাকলে দুঃস্থ নারীদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে কিংবা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা পৌঁছানো হবে। এতে যার জন্য সাহায্য প্রযোজ্য তিনিই পাবেন।

কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের নিজনিজ এলাকায় কি ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে তার তালিকা প্রণয়নের কথা বললেন। তিনি বলেন, শিক্ষিত যুবশ্রেণী কেবল চাকরি না খুঁজে তাদের নিজ নিজ উদ্যোগে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের জন্য ব্যবসার সুযোগ সৃস্টি করাও হতে পারে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব।

প্রধানমন্ত্রী কথা বললেন ফরমালিনের বিরুদ্ধেও। বললেন, ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন হচ্ছে। ভেজাল ও রাসয়নিকমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরমালিন নিয়ন্ত্রণে এটি শনাক্ত করার কিটস দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করতে হবে। তবে একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দিতে ভুললেন না, কি পরিমান ফরমালিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর তার একটি নির্দেশিকাও সরবরাহ কর‍ার কথা। তিনি বলেন, কারো পণ্য ফরমালিন শনাক্তের নামে অহেতুক ধ্বংস না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের অর্জনের কথা প্রায়শঃই বলেন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু জেলা প্রশাসকদের সামনে বক্তৃতায় জোর দিলেন সৌর বিদ্যুতের ওপর। বললেন, দেশের দুর্গম এলাকায় কিংবা কৌশলগত কারণে যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না সেখানে সোলার প্যানেলের ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষেও জেলা প্রশাসকদের উদ্যোগ নেওয়া আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, হাট-বাজার, বাড়ি-ঘরে সোলার প্যানেল বস‍াতে হবে। তাতে গোটা দেশটাই আলোকিত হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিটি হেলথ সেন্টার এখন বিশ্বের কাছে মডেল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সেন্টারগুলো কার্যকরভাবে চলছে কি না তা জেলা প্রশাসকদের দেখতে হবে।

তথ্য প্রযুক্তির কথা আসে অত্যাবশ্যকীয়ভাবেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি কথা বলতে পছন্দ করে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১১ কোটি মোবাইল ফোন সিম চালু রয়েছে এটি অসাধারণ একটি বিষয়। এই ফোনের কারণে পৃথিবী এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষায় নতুন প্রজন্ম এগিয়ে চলেছে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারি সেবা প্রদানের সাফল্যে বাংলাদেশের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম পর্যায়ে এই প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে। একটি সময় আসবে যখন আমাদের ছেলে মেয়েরা নিজের গ্রামে বসে বিদেশে চাকরি করবে।

নগরায়ন নিয়ে কথা বলতে হিয়ে, পরিকল্পনাহীন নগরায়নের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দিতে তার স্বপ্নের কথা জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শহরে সরকার ফ্ল্যাট-প্লট বরাদ্দ দেয়, গ্রামেও সেটা হতে পারে। গ্রামে মানুষ ফসল ফলাবে, গবাদি পালন করবে কিন্তু পাকা বাড়িতে নাগরিক সুবিধা নিয়ে থাকবে এটাই তার প্রত্যাশা, জানান প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি। এমন বাড়ির একটি নকশাও হয়েছে। তবে তা প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ না হওয়ায় নতুন নকশার কাজ চলছে।

শিক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অসাধারণ ভাবনার কথা তুলে ধরেন। দেশের সকল পর্যায়ে শিক্ষাকে অবৈতনিক করে তুলতে তার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার পেছনে রাষ্ট্রের যে ব্যয় তা খরচ নয়, বিনিয়োগ। এর মাধ্যমে একটি শিক্ষিত জাতি তৈরি হবে যা সমগ্র জাতিকে একদিন উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে পারে।

শিক্ষার্থীদের স্কুলে শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার মান উন্নত করে পাবলিক পরীক্ষা শতভাগ পাশ নিশ্চিত করা যাবে। আমাদের সন্তানেরা পরীক্ষায় ফেল করবে না, তারা সবাই পাশ করবে এটাই আমার স্বপ্ন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রতিটি জেলা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজ নিজ এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় থাকলে ছেলে মেয়েরা বাবা-মায়ের কাছে থেকে তাদের লেখাপড়া সম্পন্ন করতে পারবে। এতে তাদের বিপথে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

তরুণ বয়সের ছেলে মেয়েরা যাবে সুপথে চলে, মাদকাসক্তি থেকে মুক্ত থাকে সে লক্ষে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব পালনের জন্য বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি আপনাদের প্রতি আমার নির্দেশ।

এসব নিশ্চিত করতে পারলে এগিয়ে যেতে আমরাই পারবো, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর ২৪টি পয়েন্টে জেলা প্রশাসকদের কাছে প্রত্যাশা ও নির্দেশনা তুলে ধরেন, যাতে আলোচনার বিষয়গুলোই গুরুত্ব পায়। তবে প্রথম পয়েন্টটিতে প্রধানমন্ত্রী সরকারি সেবা গ্রহণে সাধারণ মানুষ যাতে কোনোভাবেই হয়রানি বা বঞ্চনার শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান।

-বাংলানিউজ২৪.কম

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত