500
Published on জুন 8, 2014প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় বেলা দু’টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টিার লিউ ঝেনমিন। বেইজিংয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আজিজুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দু’টি শিশু প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেয়। এখান থেকে তাঁকে প্রেজেন্টেশন লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়্ এবং গন্যমান্য ব্যক্তিদের সংগে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এরপর তিনি চীনা পিপলস আর্মির একটি চৌকস দলের স্টাটিক গার্ড পরিদর্শন করেন।
বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে দাইয়োতাই রাষ্ট্রীয় গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। বেইজিং অবস্থানকালে এই গেস্ট হাউসেই তিনি থাকবেন।
শেখ হাসিনা সোমবার চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে মূল বক্তব্য রাখবেন। এরপর তিনি চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় চীনের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে এক ভোজসভায় তিনি অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বাংলাদেশ-চীন ট্রেড এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন ফোরামে মূল বক্তব্য রাখবেন।
শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং এবং চায়নিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) চেয়ারম্যান উ ঝেংশেংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সিসিটিভি, ফনিক্স টিভি, ইউনান টিভি ও চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনালের বাংলা বিভাগকে সাক্ষাৎকার দেবেন। এছাড়া চীনের কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের ছাত্রছাত্রী আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও তিনি যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ১১ জুন সকালে দেশের উদ্দেশ্যে বেইজিং ত্যাগ করবেন এবং একইদিন বিকেলে ঢাকা পৌঁছুবেন।
চীন সফরকালে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী। এছাড়াও ৭০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
কুনমিংয়ে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী কুনমিং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন এন্ড এক্সিবিশন সেন্টারে চায়না-সাউথ এশিয়া এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং বক্তব্য রাখেন। এছাড়া তিনি চায়না-সাউথ এশিয়া বিজনেস ফোরামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
শেখ হাসিনা চীনের উপ প্রধানমন্ত্রী ওয়াং ইয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ইউনান প্রদেশের গভর্ণর লি জিহেং আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেন।