834
Published on জুন 5, 2014আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও ৭ দিনব্যাপী পরিবেশ মেলা এবং ৩ মাসব্যাপী জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। স্বাগত বক্তৃতা দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী।
হাজারীবাগ ট্যানারী সাভারে স্থানান্তরের কাজ শুরু করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চামড়া ব্যবসায়ীদের দ্রুত সেখানে তাদের কারখানা স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, যারা সময়মত কারখানা স্থানান্তর করবে না আমরা বাধ্য হবো, সেসব কারখানা বন্ধ করে দিতে।
তিনি বলেন, ট্যানারী স্থানান্তরের আগে থেকেই সেখানে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি কার্যক্রম অনলাইনে মনিটর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কারণ, লক্ষ্য করা গেছে অনেক প্রতিষ্ঠানই ইটিপি থাকা সত্ত্বেও তা চালুর পরিবর্তে বন্ধ করে রাখে। সরকারি লোকজন পরীক্ষায় গেলেই শুধু তা চালু করা হয়।
তিনি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সর্তক করে দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে সরকার এখন বেশ সজাগ। কোন রকম অনিয়ম প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৮১২টি শিল্প কারখানায় ই.টি.পি স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে কলকারখানাসমূহে শতভাগ ই.টি.পি চালুর পরিকল্পনা তাঁর সরকার হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, বাযু দূষণের মাত্রা হ্রাস করার লক্ষ্যে তাঁর সরকার ইতোমধ্যে ২ হাজার ১৪১টি ইট-ভাটাকে আধুনিক প্রযুক্তির ইট-ভাটায় রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ইট-ভাটাকেই এই আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে।
বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীর উভয় পাড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ নেয়া হয়েছে। এতে নদীর গভীরতা বাড়বে এবং অধিক জল ধরে রাখা সম্ভব হবে।
রাজধানী ঢাকার চারপাশে যে ৫টি নদী আছে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সেসব নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতেও তাঁর সরকারের উদ্যোগের কথা তিনি জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, রাজধানীতে এখন যে কোন স্থাপনা গড়তে হলে জলাধার রাখতে হবে। তা না হলে কোন স্থাপনা গড়তে দেয়া হবে না। কারণ জলাধার না থাকলে পানি পাওয়া যাবে না। এ চিন্তা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এতে অবশ্য অনেকেই আমার উপর নাখোশ। তাদের আবার পত্রিকাও আছে, সেই পত্রিকায় আমার সরকারের বিরুদ্ধে অনেক লেখালেখিও হচ্ছে’।
প্রধানমন্ত্রী বসুন্ধরা শপিং সেন্টারে আগুন লাগার কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই আগুন নেভাতে সোনারগাঁও হোটেলের সুইমিংপুল থেকে পানি আনতে হয়েছিল। অথচ পাহ্নপথেই একটি খাল ছিল। সেটির উপর ব´ কালর্ভাট না করে যদি পরিকল্পিতভাবে তা রক্ষা করে, তার দু’ধারে স্থাপনা গড়ে তোলা হতো -তাহলে বসুন্ধরার আগুন নেভাতে আর পানির সমস্যা হতো না।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি এ বছরের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘রেইজ ইয়র ভয়েস, নট দ্য সী লেভেল’ অর্থাৎ ‘হতে হবে সোচ্চার, সাগরের উচ্চতা বাড়াবো না আর’ - যা সারা বিশ্ব বিশেষ করে আমাদের মত উপকূলবর্তী দেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অব ক্লাইমেট চেঞ্জ এর রির্পোট অনুসারে একদিকে সমুদ্রের পানির স্ফীতি ঘটছে, অন্যদিকে গত বিশ বছরে মেরুঅঞ্চলসহ বিভিন্ন হিমবাহের বরফ স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক হারে গলছে। এর ফলে ছোট ছোট দ্বীপরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বহু দেশের উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল সমুদ্রের গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এছাড়া শিল্পোন্নত দেশগুলো শত বছর ধরে লাল লাখ কোটি টন কার্বন বায়ুমন্ডলে ছেড়েছে। ফলে ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়েছে। বাংলাদেশসহ সমুদ্র উপকূলীয় দেশগুলো ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী গত পাঁচ বছরে পরিবেশ রক্ষায় তাঁর সরকারের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে বলেন, পরিবেশ আদালত আইনসহ নতুন নতুন আইন প্রণীত হয়েছে। পুরানো আইনগুলো সংশোধন করে যুগোপযোগী এবং আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার ২০০৯ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের জনবল ২৬৭ থেকে ৭২০ এ উন্নীত এবং ২১টি জেলায় অফিস স্থাপন করেছে। দেশের ৬৪টি জেলাতেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার জলবায়ু পরিবর্তন কর্ম-কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা ২০০৯ প্রণয়ন করেছে। জলবায়ু ট্রাস্ট আইন ২০১০ পাশ এবং এর আওতায় ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট নামে সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠন করা করেছে।
তিনি বলেন, বিদেশী অর্থের উপর নির্ভর না করে তাঁর সরকার নিজেদের অর্থেই ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডে বরাদ্দ দিয়েছে। এ ফান্ড থেকে ২৭০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়নে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসাইলিয়েন্স ফান্ড (বিসিসিআরএফ) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সাতটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে এ পর্যন্ত ১৮৯ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “১৫তম বিশ্ব জলবায়ু সমে¥লনে অংশগ্রহণ করে আমি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য একটি আন্তর্জাতিক “গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড” গঠনের আহবান জানিয়েছিলাম।”
তিনি বলেন, আশার কথা গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড গঠিত হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই এই সংস্থাটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অর্থায়ন ও কার্যক্রম গ্রহণ করবে । বাংলাদেশ এই গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড বোর্ডের বিকল্প সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
পরিবেশ, প্রতিবেশ, বন সংরক্ষণ ও উন্নয়নে তাঁর সরকার সকল বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার পাহাড়, নদী, জলাশয়, জলাভূমি, জলজ প্রাণী ও উদ্ভিজ্জ রক্ষায়ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য উৎপাদন, আমদানি, মজুদ ও পরিবহনে আইনের প্রয়োগ জোরদার করা হয়েছে।
বেঁচে থাকার উপকরণ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও নির্মল পরিবেশ আমরা বৃক্ষ থেকেই পাই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০১৪’র এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিক বৃক্ষ অধিক সমৃদ্ধি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার বন সংরক্ষণ, টেকসই বন ব্যবস্থাপনা এবং বনের কার্বন মজুদ বৃদ্ধির জন্য রিডিউসিং এমিশন ফ্রম ডিফরেস্টেশন এ্যান্ড ফরেস্ট ডিগ্রেডেশন (আরইডিডি) কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও কার্বন মজুদ বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কার্বন বিক্রয় ও পেমেন্ট ফর ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস থেকে প্রাপ্ত আয় আরইডিডি’র সাথে সম্পৃক্ত জনগণ ভোগ করবেন।
তিনি বলেন, জ্বালানীতে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা স্বল্পতম পর্যায়ে আনতে তাঁর সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। বসতবাড়িতে সৌর এবং বায়ো-গ্যাস প্লান্ট স্থাপনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা দেশে প্রায় ১৫ লক্ষ উন্নত প্রযুক্তির চুলা বিতরণ করা হয়েছে, যা মা বোনদের চিরাচরিত সনাতন চুলার ধুঁয়া থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভূমিকা রাখছে। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানির বাণিজ্যিক উৎপাদনের উপর থেকে পাঁচ বছরের জন্য আয়কর মওকুফ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির অংশ হিসেবে তাঁর সরকার সকল ক্ষেত্রে জ্বালানি ব্যবহারে দক্ষতা ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, উপকূলীয় এলাকায় ও ক্ষতিগ্রস্ত বনাঞ্চলে ব্যাপক বনায়ন ও বৃক্ষরোপণ, পরিবহনে কম দূষণকারী জ্বালানির ব্যবহার ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং দূষণকারীদের অর্থ প্রদান নীতিসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে নতুনভাবে ১ লক্ষ ৭০ হাজার একর ভূমি সংরক্ষিত বনভূমি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে যা বন সংরক্ষণে একটি মাইলফলক। উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সবুজ বেষ্টনী সৃজন করা হচ্ছে। জেগে উঠা চরভূমি লিজ প্রদান বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ ৯৬ হাজার হেক্টর চরাঞ্চলে বনায়নের মাধ্যমে নয়নাভিরাম উপকূলীয় বন সৃষ্টি করা হয়েছে। উপকূলীয় বনায়ন প্রক্রিয়ায় বঙ্গোপসাগর থেকে ১ হাজার ২০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ভূমি দেশের মূল ভূখন্ডের সাথে সংযোজন করা সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশের বন্যপ্রাণী ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯টি রক্ষিত এলাকার সাথে ১৮টি নতুন রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে। রক্ষিত এলাকার উন্নয়নে সহ-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম প্রবর্তন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও ১৪টি ইকো-পার্ক, উদ্ভিদ উদ্যান, সাফারি পার্ক পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রতি গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক এবং চট্টগ্রামে রাসেল এভিয়ারী ইকো-পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বন ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ ২০১২ সালে ইকুয়েটর পুরস্কার ও ওয়াঙ্গারী মাথাই পুরস্কার এবং আর্থ কেয়ার আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে।
সামাজিক বনায়ন বাংলাদেশের বন ব্যবস্থাপনায় উল্লে¬খযোগ্য পরিবর্তন ও সাফল্য এনেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক বনায়নকে উৎসাহিত করার জন্য তাঁর সরকার এর বিধিমালা সংশোধন করে ৪৫% থেকে ৭৫% লভ্যাংশ সাধারণ জনগণকে প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, এতে ভূমিহীন দরিদ্র মানুষ সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এ কর্মসূচূতে অংশ নিয়ে আজ ফজলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সাড়ে বারো লাখ টাকা পেয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ অভিযানকে আরো এগিয়ে নিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলা থেকে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে অন্তত ১টি বনজ, ১টি ফলজ ও ১টি ঔষধি চারা সংগ্রহ করে তা রোপণের জন্যও আহবান জানান।
যারা পরিবেশ পদক ২০১৪, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৩, বঙ্গবন্ধু এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন পুরস্কার ২০১৪ অর্জন এবং যারা সামাজিক বনায়নে লভ্যাংশের চেক পেয়েছেন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন। পরিবেশ রক্ষায় বনায়ন কর্মসূচীতে অংশ নেয়ায় তিনি তাদেরকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মো. খবীর উদ্দীন, টিভি ব্যক্তিত্ব হানিফ সঙ্কেত ও রুরাল সার্ভিস ফাউন্ডেশন ২০১৪ সালের জাতীয় পরিবেশ পদক পান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মো. মোস্তফা ফিরোজ, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মো. বন্দে আলী খান, নাটোরের নলডাঙ্গার মো. জুয়েল রানা ও নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব বঙ্গবন্ধু এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০১৪ পুরস্কার পান।
তিরিশটি প্রতিষ্ঠান ও দশটি ক্যাটাগরিতে আলাদাভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৩ লাভ করেন। নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার মো. ফজলুর রহমান ২০১৩ সালের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে সেরা উপকারভোগীর পুরস্কার পান। পরে প্রধানমন্ত্রী বিআইসিসি প্রাঙ্গণে একটি চারা রোপণ করেন।