566
Published on মে 26, 2014বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেড় কোটিরও বেশি। সারাদেশে এজেন্ট এর সংখ্যাও প্রায় আড়াই লাখের মতো। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে প্রায় আড়াই শ’ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবমতে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস শেষে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ৬০৪ জনে (১৫ দশমিক ০৪ মিলিয়ন) দাঁড়িয়েছে, যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় ৪ লাখ বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকসংখ্যা বেড়েছে ২৬২ শতাংশ। এর আগে গত বছরের ১৩ নভেম্বর দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল নাগাদ দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৫ কোটি, যা দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শুধু টাকা পাঠানো বা উঠানো নয়, কেনাকাটা, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, বেতনভাতা বিতরণ, সরকারী অনুদানপ্রাপ্তি, মোবাইলে তাৎক্ষণিক ব্যালান্স রিচার্জসহ বিভিন্ন সেবাও এখন হাতের মুঠোয়। এ সব কাজ করতে যেতে হবে না ব্যাংকের কোন শাখায় অথবা অন্য কোথাও। মোবাইল ব্যাংকিং এখন দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে অতি পরিচিত একটি প্রক্রিয়া হিসেবে স্বীকৃত।
২০১০ সালের ৩১ মার্চ শুরু হওয়া এই সুবিধার আওতায় চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোট লেনদেনের পরিমাণ ৭ হাজার ৮৪৯ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ২০ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে প্রায় আড়াই শ’ কোটি টাকার অধিক লেনদেন হচ্ছে।
বর্তমানে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের মাধ্যমে ৭ ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এগুলো হলো ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স, ক্যাশ-ইন ট্রানজেকশন, ক্যাশ-আউট ট্রানজেকশন, পিটুপি ট্রানজেকশন, বেতন বিতরণ, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ। এ ছাড়া আরও কিছু সেবা আছে, যেগুলো সরাসরি উল্লেখিত ৬টি ক্যাটাগরির কোনটার অন্তর্ভুক্ত নয়, এ ধরনের সেবাসমূহকে অন্যান্য ক্যাটাগরির আওতায় বিবেচনা করা হয়। যেমন স্কুল-কলেজের টিউশন ফি পরিশোধ। বিআইবিএমের গবেষণা জরিপ বলছে, ২০২০ সাল নাগাদ দেশে মোবাইল ব্যাংকিং বিল পেমেন্ট সুবিধা গ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটি ২০ লাখ।