518
Published on মে 18, 2014
এই চুক্তির ফলে পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণে প্রয়োজনীয় আর্থিক, কারিগরি ও জনবল সহায়তা দেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর এর মধ্য দিয়ে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাজ আনুষ্ঠানিক শুরু হলো। সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের (পিপিপি) মাধ্যমে দেশের এই তৃতীয় সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
পটুয়াখালীতে নতুন সমুদ্রবন্দর গড়ে উঠলে অর্থনীতিতে গতি আসবে এবং সার্বিকভাবে জনগণ উপকৃত হবে। মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানিকরণ হবে, কৃষি খাতে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি সহজতর হবে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থাপন হবে ভারী শিল্প-কারখানা। এর ফলে ওই এলাকায় বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ সৃষ্টি হবে ।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, পূর্ণাঙ্গ বন্দরটি পিপিপির আওতায় নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ৫ থেকে ৭ বছর সময়ের প্রয়োজন। সে কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম চালু করার লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে ২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মঞ্জুরি সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
তৃতীয় এই সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, দেশের চলমান দুই সমুদ্রবন্দরের ওপর থেকে চাপ কমানো, দেশের বাইরের কার্গো ও কন্টেইনার ধারণ ও আদান প্রদান, ট্রানজিট বাণিজ্যে সহায়তা করা, দেশের দক্ষিণ-মধ্যমাংশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিতকরণের লক্ষ্যে পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
পায়রা বন্দর খাতে ব্যয়িত চবক-এর সমুদয় অর্থ সুদবিহীন ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে। বন্দরের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, পন্টুন নির্মাণ, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, নৌ-সহায়ক ও নিরাপত্তা বিষয়ক কার্যক্রম সম্পাদনসহ হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে ইত্যাদির জন্য ব্যয়িত/ব্যয়িতব্য মোট ৪৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।