492
Published on মে 17, 2014তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান (এনআই খান) বলেন, গত পাঁচ বছরে আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সরকারি-বেসরকারি অনেক সেবা ডিজিটাইজেশন এবং ই-সেবা (অনলাইন সেবা) ও ই-কমার্স চালুর ফলে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়ে গেছে। বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের প্রবণতাও ক্রমশ বাড়ছে। এ কারণে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে ও অনলাইনে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে আলাদা একটি সাইবার সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। তিনি বলেন, সরকার আলাদা একটি সাইবার সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে সাইবার অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিষয়ের তদরকি, মানুষকে সচেতন ও সাইবার অপরাধ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবে।
ইতিমধ্যে সাইবার সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই তা যথাযথ কর্তপক্ষের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। এনআই খান বলেন, সরকার একই সঙ্গে সাইবার অপরাধ দমনে আইসিটি অ্যাক্ট-২০১৩ কে আরও যুগোপযোগী ও সাইবার অপরাধ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এরই মধ্যে ১০ মে থেকে জাতীয় পর্যায়ে সাইবার নিরাপত্তা ও আইসটি অ্যাক্ট-২০১৩ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি শীর্ষক একটি প্রকল্প চালু করেছে। এ প্রকল্পের অধীনে দেশের ৬৪ জেলায় বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সাইবার অপরাধ ও নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একই সঙ্গে আইসিটি অ্যাক্টকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করার জন্য সেমিনার ও ওয়ার্কশপ আয়োজনের মাধ্যমে বিচারক, উকিল, সাংবাদিক, শিক্ষক, পুলিশ ও সাইবার অপরাধের যারা শিকার হয়েছেন তাদের মতামত নেয়া হবে।
‘জাতীয় পর্যায়ে সাইবার নিরাপত্তা ও আইসটি অ্যাক্ট-২০১৩ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি’ প্রকল্পের পরিচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প আগামী এক বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষকে সাইবার অপরাধ বিষয়ে সচেতন করে তোলা সম্ভব হবে এবং আইসিটি আইনের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।