881
Published on মে 17, 2014ঐদিন ভোরবেলা থেকেই সর্বস্তরের মানুষ, সারাদেশ থেকে কুর্মিটোলা বিমান বন্দরের দিকে আসতে থাকে। এয়ারপোর্ট রোডের দুই পাশে বিমানবন্দর থেকে কয়েক মাইল লম্বা যানবাহনের সারি।
মুখে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান ও হাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি, রঙ্গিন পোস্টার, ব্যানার, দলীয় প্রতীক নৌকার প্রতিকৃতি নিয়ে লাখো মানুষ বিমানবন্দরে ভীড় করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নিজ মাতৃভুমিতে স্বাগত জানাতে।
শেখ হাসিনাকে বহনকারী প্লেন রানওয়ে স্পর্শ করার সাথে সাথে জনতার মিছিল হুমড়ি খেয়ে পড়লো। এই জনতাকে সামলাতে নিরাপত্তাকর্মীদের হিমশিম খেতে হয়েছে বটে কিন্তু জনগন নিজেদের উদ্দেশ্য ভুলে যায়নি।
হাতের নাগালের মধ্যে পেয়ে বঙ্গকন্যাকে বহনকারী বিমান ছুঁয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন অনেকেই। কিছুক্ষন পরই বিমানের দরজায় এসে দাঁড়ান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পুষ্পার্ঘ্যে শোভিত বঙ্গকন্যা জনতার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিবাদন জানানর সাথে সাথেই আনন্দ-বেদনায় কান্নার রোল ওঠে সমগ্র বিমানবন্দর এলাকা জুড়ে।
শেখ হাসিনা নিজেও কান্না ধরে রাখতে পারেননি, জনগণের প্রানঢালা ভালোবাসার জবাব দিতে পারছিলেন না তিনি। হৃদয়ের রক্তক্ষরণ এতোদিন জমাট বেঁধে ছিলো বুকের ভিতরে। আজ তা অশ্রুবিন্দু হয়ে দুচোখ বেয়ে নামলো। ১৫ই আগস্টের কালরাতে তাঁর বাবা-মা-ভাই-ভাবীর রক্তে ভিজে আছে যে মাটি, সেই মাটির রক্তের দাগ একদিন মুছে দেবে এই অশ্রুধারা।