510
Published on মে 10, 2014তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অনেক সাফল্য এবং মানুষের ত্যাগের ইতিহাস আছে। তাই আপনাদের কাছে প্রত্যাশা, সেসব সাফল্য ও ত্যাগের ইতিহাস চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরুন’।
আজ বিকালে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতি এ আহবান জানান।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক এমপি। সম্মানিত অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের তথ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ এমপি। স্বাগত বক্তৃতা দেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ।
অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ¦ল ও অসাধারণ অবদানের স¦ীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর হাতে এ সম্মাননা পদক তুলে দেন। পরে আজীবন সম্মাননার অনুভূতি প্রকাশ করেন অভিনেতা খলিল উল্লাহ খান।
চলচ্চিত্র তারকা সমৃদ্ধ বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ ও উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটায় এমন চলচ্চিত্র নির্মাণের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সঙ্গে সমাজ ও মানুষের খারাপ দিকগুলোও তুলে ধরতে হবে।
তরুণ সমাজকে বিপথে নিয়ে যায়, এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ না করার পরার্মশ দিয়ে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র যেন সমাজ, বিশেষ করে তরুণদের বিপথে নিয়ে না যায় সেদিকে আরো মনোযোগ দিতে হবে’।
তিনি বলেন, সাহিত্য, সঙ্গীত, অভিনয়, সাজসজ্জা, চিত্রকর্ম, আলোকচিত্র, নৃত্যসহ শিল্পকলার প্রায় সকল শাখার সম্মিলনের নান্দনিক প্রতিফলন হচ্ছে চলচ্চিত্র। একটি দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সবকিছুই প্রতিফলিত হয় চলচ্চিত্রে। তাই আমাদের চলচ্চিত্র তেমন হতে হবে, যেন সুখি ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, আমার প্রত্যাশা ‘বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির ইমেজ বিশ্বে উদ্ভাসিত করতে আপনারা তেমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন’।
প্রধানমন্ত্রী সিনেমা হলের আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভালমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি সিনেমা হলগুলোর পরিবেশ উন্নত ও আধুনিক করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের অনেক হল বন্ধ হয়ে গেছে। হল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং প্রয়োজনে তাদের সহায়তা দিয়ে হলগুলো ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে তিনি নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রে গৌরবোজ্জ¦ল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চলচ্চিত্রের চব্বিশটি ক্ষেত্রে তেইশ জন বিশিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলীর হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১২’র পদক তুলে দেন।
সুত্রঃ বাসস