672
Published on মে 8, 2014
নতুন এই টার্মিনালে বসবে আরও ৩২টি বোর্ডিং ব্রিজ। বাড়বে বিমানবন্দরের ড্রাইভওয়ে। এর মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের উড়োজাহাজ হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বেড়ে যাবে চার গুন। কাজ শেষ হলে প্রতিদিন ১০০০ ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারবে শাহজালাল বিমানবন্দরে।
একটি রানওয়ে ও দুটি টার্মিনাল নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বছরে ৬০ লক্ষ মানুষকে সেবা দিচ্ছে। প্রতি বছরই এই সংখ্যা গড়ে ৫ লাখ করে বাড়ছে। একইভাবে অভ্যন্তরীণ রুটেও যাত্রী বাড়ছে। অভ্যন্তরীণ রুটে ৬ লাখের মতো যাত্রী ব্যবহার করছে দেশের প্রধান বিমানবন্দর। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২৪০টি ফ্লাইট ওঠানামা করছে এই বিমানবন্দরে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)জানিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্রমবর্ধমান যাত্রীচাপ সামলাতেই নির্মিত হচ্ছে দ্বিতীয় রানওয়ে ও তৃতীয় টার্মিনাল। যে জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের কাজ প্রায় সম্পন্ন। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভায় প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে পরামর্শক নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। আর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আগামী দেড় বছরের মধ্যে রানওয়ে ও টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
দ্বিতীয় রানওয়ে ও তৃতীয় টার্মিনালের পাশাপাশি এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইমিগ্রেশন ডেস্ক বাড়ানো, ব্যাগেজ হ্যান্ডলিংসহ প্রতিটি স্তরে সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ রয়েছে এই পরিকল্পনার আওতায়। এদিকে ডেনমার্কের অর্থায়নে ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ, রানওয়ে মেরামতসহ ৫৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে।
প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি মানের একটি বিমানবন্দরে পরিণত হবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।