সশস্ত্রবাহিনীকে বাস্তবসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের আহবান প্রধানমন্ত্রীর

663

Published on ফেব্রুয়ারি 19, 2014
  • Details Image


তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন নতুন পরিবর্তনের ফলে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা ও দায়িত্বে এসেছে বহুমাত্রিকতা। সশস্ত্র বাহিনীর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমেও পরিবর্তিত সময়ের এই চাহিদার প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন। সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব আরোপ করায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ মিরপুর ক্যান্টনমেন্টে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) স্নাতক ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনী আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূর্ত প্রতীক। প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর উপর ন্যস্ত। এ পবিত্র দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায়ও প্রশংসনীয় অবদান রাখছেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে একটি সুশৃঙ্খল ও পেশাদার সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অফিসারদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে এ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্টাফ কলেজ আজ এক অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত।
তিনি বলেন, “আমাদের সম্পদ সীমিত। আর সে সীমিত সম্পদ দিয়েই আমরা একটি যুগোপযোগী, দক্ষ ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চাই।” সশস্ত্র বাহিনীর উর্ধ্বতন অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, এমআইএসটি, আর্মস ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে অনেকগুলো ইউনিট গঠন করা হয়। তিনি বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসাবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে- এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এ বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতিও হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে আজ তা ১০৪৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্বেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রপ্তানি আয় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিএসসিএসসি বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর তিন বাহিনীর প্রশিক্ষণ ইন্সস্টিটিউট। এই ইন্সস্টিটিউটের উদ্দেশ্য হচ্ছে কমান্ড ও স্টাফ নিয়োগে তিন বাহিনীর কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত করা।
এপর্যন্ত ২৯৬৫জন বাংলাদেশী অফিসার ও ৩৭টি দেশের ৮০৮জন বিদেশী অফিসার এধা কলেজ থেকে স্নাতক কোর্স করেছেন।
এবছর মোট ১৮৮ জন অফিসার্স ডিএসসিএসসি কোর্স শেষ করেন । এর মধ্যে ১০০ জন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর, ২৩ জন বাংলাদেশ নেভির, ২১ জন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এবং অবশিষ্ট ৪৪ জন চীন, মিসর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ,আইভরি কোষ্ট, জর্ডান, কুয়েত, লাইবেরিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সৌদি আরব, সিয়েরা লিয়েন, শ্রীলংকা , তানজানিয়া , তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, এবং জিম্বাবুয়ের।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত -সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, মন্ত্রীবর্গ. প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব ) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ,নৌ বাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল ফরিদ হাবিব, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মুহাম্মদ এনামুল বারি, স্বরাষ্ট্র বাহিনী বিভাগের পিএসও, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, কূটনীতিক, উচ্চপর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃ বাসস

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত