658
Published on ফেব্রুয়ারি 5, 2014
শেখ হাসিনা আজ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থা দেখতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
‘৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএনপির ২৯ হাজার নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে’- দলটির নেতাদের এই অভিযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে পঠিত তালিকার সবাই সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার দলের লোকেরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বেগম জিয়াকে একথা বলতে চাই যে, সন্ত্রাসীদের নির্দোষ বানানোর চেষ্টা করে তিনি ভুল করছেন। তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পোষকতা করছেন।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে ইউনিয়ন পরিষদের একজন মহিলা সদস্যের উপর নৃশংস হামলার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্থানীয় এক বিএনপি নেতার নির্দেশে সন্ত্রাসীরা ওই মহিলার হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে এবং তার বুকে ছুরিকাঘাত করেছে।
তিনি বলেন, যারা ওই মহিলাকে আক্রমণ করেছিল তারা কি কোনো মায়ের সন্তান নন।
‘একজন মানুষ যে তার মায়ের গর্ভে বেড়ে উঠেছে এবং তার দুগ্ধ পান করেছে, কী করে সে একজন নারীকে নির্মমভাবে আক্রমণ করতে পারে’- উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কি ওই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো না ? অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেন বিএনপি নেত্রীর সব কথাই ঠিক ? তিনি দেখেন না যে, তার দলের লোকেরা কী রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাকে অবশ্যই তার দলের লোকদের এসব কর্মকাণ্ড দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও স্বাধীনতার সপক্ষের অন্যান্য শক্তির বিরুদ্ধে সহিংস তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা তার (বিএনপি চেয়ারপার্সন) মদদে এসব সহিংসতা চালাচ্ছে এবং এজন্য তাকে দায়ী হতে হবে।