565
Published on জানুয়ারি 18, 2014
শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সূচনা বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, সরকার এ ব্যাপারে কোনো চাপের কাছেই নতি স্বীকার করবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনের নামে যা করছে তা সহিংসতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের কর্মকান্ড পুরোপুরি সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের কাজ। যা বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর নির্বাচনোত্তর সহিংসতার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আশংকা প্রকাশ করেন যে, বিএনপি-জামায়াত এবার ক্ষমতায় আসতে পারলে ২০০১ সালের চেয়ে বহুগুণ সহিংসতা চালাতো।
‘জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। অপরদিকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীরা বিএনপি-জামায়াতের পাশে আছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা জনজীবনে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।’ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার জন্য সকল অপরাধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনদের পুনর্বাসনে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ী-ঘর পুনঃনির্মানের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশের সাফল্য কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী জনগণ, নির্বাচন কমিশন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিগত ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন এবং দলের অন্যান্য নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।