546
Published on জানুয়ারি 1, 2014
আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের সমর্থনে আজ বিকেলে নগরীর মিরপুর, পল্লবীও উত্তরায় তিনটি সমাবেশে ভাষন কালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের সমর্থনে আদর্শ হাইস্কুল ময়দানে এবং ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সমর্থনে পল্লবী হারুন মোল্লাহ পাকের্ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় ভাষন দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালে যখন গণতন্ত্র ছিলো না তখন কুশিলবরা গুরুত্ব পেয়েছিলেন। এসব মহলের ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কোনো অপশক্তি নির্বাচন ভণ্ডুল করতে পারবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে তাঁর দল ক্ষমতায় আসার পর পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ নগরবাসীর সমস্যা সমাধানে সকল ধরনের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, এগারটি নতুন সরকারি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ সকল শিক্ষা অবকাঠামোর অনেকগুলোর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলো নির্মানাধীন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হবে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ধনী দেশে পরিণত হবে। আওয়ামী লীগ যখনি ক্ষমতায় আসে , তখনি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ শান্তিতে বসবাস করে এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভালো থাকে। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসলে বস্তিবাসীর উন্নয়নের জন্য সরকার পদক্ষেপ নেবে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্তির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেউ বসবাস করবে না। কোনো বস্তিবাসী তার গ্রামের বাড়ী ফিরে যেতে চায়, তাহলে আমরা তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর আবাসন সুবিধা করে দেবো। আমরা তাদের বাড়ী করে দেবো এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেবো।
প্রধানমন্ত্রী বিগত নির্বাচনে দলের প্রার্থী কামাল মজুমদারকে ভোট দেয়ার জন্য স্থানীয় ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি পুনরায় তাকে ভোট দেয়ার জন্য তাদের প্রতি আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের হরতাল ও অবরোধসহ সকল অপকর্ম সত্ত্বেও সরকার সাফল্যের সঙ্গে ৩১ কোটিরও বেশি সংখ্যক কপি পাঠ্যপুস্তক ছাপিয়ে ২০১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথমদিন স্কুল পড়ুয়া শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়নি। কিন্তু অতীতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে উচ্চ আদালত জামায়াতকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, দেশের জনগনের দাবির কারণেই সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন ‘আওয়ামী লীগ জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী কাজ করে। অথচ বিএনপি করে ঠিক এর উল্টোটা।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি’র হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের কোন সমর্থন অথবা সংশ্লিষ্টতা নেই। আন্দোলনের নামে তারা হত্যা, অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলা করছে এবং গাছ কাটছে।’
আগামী ৫ জানুয়ারি জনগণের প্রতি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানিয়ে তাদের সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টিকারী নির্বাচন বিরোধীদের প্রতিহত করারও আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী পরে পল্লবীতে হারুন মোল্লা পার্কে দলীয় প্রার্থী ইলিয়াস মোল্লার সমর্থনে এক নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা করেন। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন বয়কট করার অধিকার বিএনপির রয়েছে, তবে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অধিকার তাদের নেই।
জামায়াতকে একটি সন্ত্রাসী শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী ওই শক্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান।