526
Published on ডিসেম্বর 18, 2013
শেখ হাসিনা বলেন, আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড কার্যকরের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাতে স্বজন হারানো শহীদ পরিবারগুলোর প্রতি ন্যায়বিচার করা হয়েছে। কেবল পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী ও জামায়াতে ইসলামীসহ তাদের বাংলাদেশী দোসররা কাদের মোল্লার ফাঁসি মেনে নিতে পারেনি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সমৃদ্ধির জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের কোনো জায়গা নেই। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত দেশের অগ্রগতি থামাতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি এবং যে কোনো মূল্যে তা রক্ষা করবো। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে দেশকে গড়ে তুলবো।’
প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতি ও গণতন্ত্র ধ্বংস করার লক্ষ্যে তৎপর অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সাহস এবং সব ধরনের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘আপনারা হাত গুটিয়ে নিবেন না। সন্ত্রাসীদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা এবং সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। তাই আমরা সবসময় বিরোধী দলের সাথে একটি ঐক্যমতে পৌঁছার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক যে, আমি যখন সংলাপের জন্য বিরোধী দলীয় নেতার কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তখন তিনি আমাকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার অথবা ক্ষমতা ত্যাগ করার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিলেন।’
এসব কিছু সত্ত্বেও আমি সংলাপের জন্য বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি আহবান জানিয়েছিলাম। আমরা এই আশা নিয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন চালিয়ে গেছি যাতে বিরোধী দল অধিবেশনে যোগ দিতে এবং আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের মুলতবি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে পারে।
তিনি বলেন, পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বদলীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে আমার প্রস্তাবও বিরোধী দলীয় নেতা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু এখন আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, বিএনপি জামায়াত ছাড়া নির্বাচনে আসবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাহলে তাদের নির্বাচনে আসা উচিত।