600
Published on ডিসেম্বর 27, 2013
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামায়াতের পরিণতি দেখে হতাশ হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসী দল জামায়াতকে আদালত নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। জামায়াতের সঙ্গে শরিক হয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং একে ব্যর্থ করার চক্রান্ত করছে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। তিনি বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, কয়েকজন বিএনপি নেতার উস্কানিতে তাদের কর্মীরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেন, আন্দোলন যদি গণতন্ত্রের জন্য হয় তাহলে কেন তাদেরকে নির্মম লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যেভাবে বর্বরতা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত এখন তাই করছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করা। শেখ হাসিনা বলেন, কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মাধ্যমে দেশের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। কিন্তু বেগম জিয়া এ ধরনের একটি উত্তপ্ত ইস্যুতে সম্পূর্ণ নীরব রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের নিন্দা প্রস্তাবের ব্যাপারে ২৪ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়ার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, শেখ হেলাল এমপি এবং আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ আবদুল্লাহ বক্তৃতা করেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী লৌহজং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে দলীয় প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির সমর্থনে এক নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেন। ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়াদে প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। তিনি ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রার্থী সুকুমার রঞ্জন ঘোষের সমর্থনে শ্রীনগর স্টেডিয়ামে এক নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেন