843
Published on সেপ্টেম্বর 5, 2013
শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানিয়েছেন যে, তিনি ইতোপূর্বে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সমস্যা সমাধানে সংলাপে বসার প্রস্তাব দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, 'ওই প্রস্তাবের কোনো জবাব না দিয়ে তিনি (খালেদা জিয়া) সরকারকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন এবং পরবর্তীতে বিরোধীদল সরকারের পতনের লক্ষ্যে সহিংসতা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর কার্যকলাপের মাধ্যমে দেশের শান্তি ও রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শান্তি চায় এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর দেখতে চায়।
আগামী সাধারণ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণ কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে বলে শেখ হাসিনা দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বেলা প্রায় সাড়ে ১১ টায় ফোন করেন এবং ফোনে এই আলাপ-চারিতা প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং এমডিজি'র লক্ষ্যসমূহ অর্জনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। বিশ্বে শেখ হাসিনার মতো নেতার প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।'জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন আশা প্রকাশ করেছেন যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র, অর্থনীতি এবং জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। জাতিসংঘ মহাসচিব আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।প্রধানমন্ত্রী এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বলেন, জাতিসংঘ অধিবেশনে তার যোগদান নির্ভর করবে জাতীয় সংসদের অধিবেশন পরিস্থিতির ওপর। কেননা এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলবে। প্রধানমন্ত্রী সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানান।
বান কি-মুন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা-কর্মীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্মরণ করে শেখ হাসিনার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন।