বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা থেকে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের পথপরিক্রমা

899

Published on জুলাই 31, 2022
  • Details Image

একসময় কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবেই পরিচিতি ছিল বাংলাদেশের, জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ৮০ ভাগ। কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবেই নিজেকে একুশ শতক অবধি টেনে এনেছে বাংলাদেশ। তবে সাম্প্রতিককালে জিডিপির চিত্রটা দারুণভাবে বদলে গেছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষির অবদান এখন গড়ে মাত্র ২০ ভাগ বা তারও কম। সেবা খাত কৃষি ও শিল্পকে অতিক্রম করে জিডিপিতে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি অবদান রাখতে শুরু করেছে। এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ দেশটির সামগ্রিক পরিবর্তন। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্ব এটি সম্ভব হয়েছে। আমাদের ডিজিটাল রূপান্তর এমন এক সুযোগ তৈরি করেছে, যা এর আগে আমরা কখনও ভাবতেও পারিনি।

আপনারা জানেন, এই দেশে কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব টেলিযোগাযোগ সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণ করে দেশের সঙ্গে বিশ্ব সংযুক্তির সূচনা করেন। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন তিনি বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ স্থাপন করে সেই পথটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান।

সেই ধারাবাহিকতাতেই আজকের 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' স্লোগান চমকে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। আজকের বাংলাদেশ অনেকের কাছেই একটি অচেনা ও বিস্ময়কর রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত হচ্ছে। কারণ, পঞ্চাশ বছর আগেও যে দেশকে 'তলাবিহীন ঝুড়ি' বলে অভিহিত করতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, স্বাধীনতার পর কয়েক দশক ধরে সেই পরিচয়ই বহন করে চলছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে গত এক দশকে আমূল বদলে গেছে দৃশ্যপট। অশুভ ছায়া ও অন্ধকার দূর করে এখন আলোর বন্যায় ভাসছে দেশ। বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমূল বদলে যাওয়া এই নতুন বাংলাদেশের দিকে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের এই পথচলা কিন্তু নতুন নয়। স্বাধীনতার পর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলেই এর ভিত্তি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এগিয়ে নিতে শুরু করেছিলেন দেশকে। কিন্তু ঘাতকদের ষড়যন্ত্রে সেই পথ থেকে ক্রমেই হারিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তার কন্যার হাত ধরে প্রযুক্তিনির্ভর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সামিল হয় বাঙালি জাতি। ফলে বাস্তবায়িত হতে থাকে বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের সোনার বাংলা।

বঙ্গবন্ধুহত্যার পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত, সরকারিভাবে তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে কোনো সরকারেরই কোনো ভূমিকা ছিল না। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করার পর আমরা ডিজিটাল যুগে যাত্রা শুরু করি। সেই সময়ে ১৯৯৮-১৯৯৯ সালের বাজেটে শেখ হাসিনা কম্পিউটারের ওপর থেকে শুল্ক ও ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেন, মোবাইল ব্যবসার মনোপলি ভাঙেন, ইন্টারনেটকে ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন, এমনকি সেই সময়ই দেশে দশ হাজার প্রোগ্রামার তৈরির নির্দেশনা প্রদান করেন। কেমন করে বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রফতানি করা যায়, তার সুপারিশের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয় শেখ হাসিনার নির্দেশনায়। সেই টাস্কফোর্স ৪৫টি সুপারিশ পেশ করে, যা সরকার গ্রহণ করে ও বেশির ভাগ সুপারিশ বাস্তবায়ন শুরু করে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশকে ডিজিটাল রূপান্তরের স্বপ্ন থেমে যায় ২০০১ সালে শেখ হাসিনার সরকার বদলে যাওয়ার পর। এরপর আবারও ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশন শুরু হয়। সেই নির্বাচনের আগে, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করার সময় 'রূপকল্প-২০২১' এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম যেমন করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে গুরুত্ব দিচ্ছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও তেমনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশেই পরিণত করতে চান। তিনি একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেও কাজ করছেন। ২০১৪ সালে ঘোষিত তার দলের নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি এই ঘোষণা প্রদান করেন। ফলে দেশকে ডিজিটাল অর্থনীতি, সৃজনশীল অর্থনীতি, মেধাভিত্তিক শিল্পযুগ বা সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অন্তত চারটি সময়কালের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।

একটি কথা খুব স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা অনুমোদনের পর দেশের সকল স্তরে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটে। তৃণমূলের সাধারণ মানুষ থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বোচ্চ স্তর অবধি এই বিপ্লব এখন বহমান। সমগ্র দেশে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ, ৪-জির প্রবর্তন, জনগণের হাতে সরকারি সেবা পৌঁছানো তথা সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর, ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদ উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ ও রফতানির ক্ষেত্রে ডিজিটাল শিল্পের বিকাশ ও জনগণের জীবনযাপনের মান উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মূলত, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, তার ওপরেই আজ দাঁড়িয়ে গেছে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ মূলত একটি কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে নিজেকে একুশ শতক অবধি টেনে এনেছে। খুব সাম্প্রতিককালে কিছু মৌলিক শিল্পায়ন ছাড়া দেশটি কৃষিনির্ভরই ছিল। তবে জিডিপির চিত্রটা এরই মাঝে দারুণভাবে বদলে গেছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষির অবদান এখন গড়ে মাত্র ২০ ভাগ বা তার কম। সেবা খাত কৃষি ও শিল্পকে অতিক্রম করে জিডিপিতে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি অবদান রাখতে শুরু করেছে। এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ দেশটির সামগ্রিক রূপান্তর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্ব এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। বিশেষ করে তার নেতৃত্বে ঘটা আমাদের ডিজিটাল রূপান্তর এমন এক সুযোগ তৈরি করেছে, যা এর আগে আমরা কখনও ভাবতেও পারিনি।

এই দেশে কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব টেলিযোগাযোগ সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণ করে দেশের সঙ্গে বিশ্ব সংযুক্তির সূচনা করেন। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন তিনি বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ স্থাপন করে আমাদের সংযুক্তির পথটাকে আরও অনেক দূর সামনে নিয়ে যান।

আজকাল, ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগান চমকে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। আজকের বাংলাদেশ অনেকের কাছেই একটি অচেনা ও বিস্ময়কর রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত হচ্ছে। কারণ, পঞ্চাশ বছর আগেও যে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে অভিহিত করতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, স্বাধীনতার পর কয়েক দশক ধরে সেই পরিচয় বহন করেই চলছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে গত এক দশকে আমূল বদলে গেছে দৃশ্যপট। অশুভ ছায়া ও অন্ধকার দূর করে এখন আলোর বন্যায় ভাসছে দেশ। বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমূল বদলে যাওয়া এই নতুন বাংলাদেশের দিকে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের এই পথচলা কিন্তু নতুন নয়। স্বাধীনতার পর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলেই এর ভিত্তি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এগিয়ে নিতে শুরু করেছিলেন দেশকে। কিন্তু ঘাতকদের ষড়যন্ত্রে সেই পথ থেকে ক্রমেই হারিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তার কন্যার হাত ধরে প্রযুক্তিনির্ভর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সামিল হয় বাঙালি জাতি। ফলে বাস্তবায়িত হতে থাকে বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের সোনার বাংলা।


এরপর সরকারিভাবে তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে সরকারের কোনো ভূমিকাই ছিল না। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করার পর আমরা ডিজিটাল যুগে যাত্রা শুরু করি। সেই সময়ে ১৯৯৮-১৯৯৯ সালের বাজেটে, শেখ হাসিনা কম্পিউটারের ওপর থেকে শুল্ক ও ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেন, মোবাইলের মনোপলি ভাঙেন, অনলাইন ইন্টারনেটকে সচল করেন ও দেশে দশ হাজার প্রোগ্রামার তৈরির নির্দেশনা প্রদান করেন। কেমন করে বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রফতানি করা যায়, তার সুপারিশের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয় সেসময়। সেই টাস্কফোর্স ৪৫টি সুপারিশ পেশ করে, যা সরকার গ্রহণ করে ও বেশির ভাগ সুপারিশ বাস্তবায়ন করে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেখ হাসিনার ডিজিটাল রূপান্তরের স্বপ্ন থেমে যায় ২০০১ সালে সরকার বদলে যাবার ফলে। এরপর আবার বাংলাদেশের ডিজিটাল নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর। সেই নির্বাচনের আগে, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করার সময় রূপকল্প-২০২১ এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা প্রদান করেন।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম যেমন করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে গুরুত্ব দিচ্ছে, তেমনি বিশ্ব তথ্যসংঘ সমাজ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে কেবল একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশেই পরিণত করতে চাননি, তিনি একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কথাও ঘোষণা করেছেন। ২০১৪ সালে ঘোষিত তার দলের নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি এই ঘোষণা প্রদান করেন। ফলে দেশকে ডিজিটাল অর্থনীতি, সৃজনশীল অর্থনীতি, মেধাভিত্তিক শিল্পযুগ বা সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অন্তত চারটি সময়কালের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।

একটি কথা খুব স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা অনুমোদনের পর দেশের সকল স্তরে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটে। তৃণমূলের সাধারণ মানুষ থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বোচ্চ স্তর অবধি এই বিপ্লব এখন বহমান। সমগ্র দেশে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ, ফোর-জির প্রবর্তন, জনগণের হাতে সরকারি সেবা পৌঁছানো তথা সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর, ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদ উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ ও রফতানির ক্ষেত্রে ডিজিটাল শিল্পের বিকাশ ও জনগণের জীবনযাপনের মান উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মূলত, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, তার ওপরেই আজ দাঁড়িয়ে গেছে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত