বাবুল আনােয়ারঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন পুরােটা সময় পাকিস্তানের কারাগারে আটক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে তাকে তার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবন থেকে পাকিস্তানি বাহিনী গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গ্রেফতার হওয়ার আগেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘােষণা করেন এবং তা ওয়ারলেস যােগে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জহুর...
অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানঃ ১৯৭১ সালের রক্তস্নাত ২৫ মার্চের কালরাত। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাড়ি। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, গাজী গােলাম মােস্তফা ও অন্যান্য নেতাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রায় সারাক্ষণ নিচের লাইব্রেরি রুমে বসেছিলেন। সেদিন সবার চোখে-মুখে ছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার ছাপ। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই মুখে সেনাপতির সুদৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সবার সঙ্গে আল...
হামিদ কায়সারঃ বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার প্রকৃতি রোদ হাওয়া তার আপন প্রয়োজনেই জন্ম দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, কেননা তাঁর জন্ম না হলে বাংলা মা খুঁজে পেত না নিজের সার্বভৌম ঠিকানা। হ্যা, শেখ মুজিবুর নামের প্রচণ্ড আবেগের বিস্ফোরণেই যেমন অভ্যুদয় হয়েছিল বাংলাদেশ নামে বাঙালির একমাত্র স্বাধীন রাষ্ট্রের, তেমনই এ দেশের প্রকৃতিও যেন নিজ হাতে গোপালগঞ্জের এক সাধ...
জহিরুল হক মজুমদারঃ ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের জন্য এক শোকাবহ দিন। পঁচাত্তরের এই দিনের প্রথম প্রহরে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে। শিশুপুত্র রাসেল, সারাজীবনের অনুপ্রেরণাদায়িনী সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং পরিবারের অন্য সকল সদস্যসহ ঘাতকের নির্মম বুলেটে নিহত হন তিনি। বিদেশে অবস্থানের কারণে বেঁচে যান তার দুই কন্...
মো সাখাওয়াত হোসেনঃ সবচেয়ে বিশাল ও ভারি যে লাশটি বাংলাদেশ নিজের বুকের কবরে বয়ে চলেছে, সেটি মুজিবের লাশ'—হুমায়ুন আজাদ এ একটি উক্তির মাধ্যমেই শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের প্রগাঢ়তা এবং ব্যাপকতা উল্লেখ করা যায়। বিশ্বের ইতিহাসে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড অসংখ্যবার ঘটেছে, ভবিষ্যতেও হয়তবা ঘটতে পারে কিন্তু শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের প্রভাব সারা বিশ্বের মেহনতি এবং শোষিত মানুষের...