তোফায়েল আহমেদঃ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের স্মৃতিকথা লিখতে বসে আজ কত কথা আমার মানসপটে ভেসে উঠছে। ৭১-এর ২৫ মার্চ দিনটির কথা বিশেষভাবে মনে পড়ে। এদিন মণি ভাই এবং আমি জাতির জনকের কাছ থেকে বিদায় নেই। বিদায়ের প্রাক্কালে তিনি আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে বুকে টেনে আদর করে বলেছিলেন...
মোহাম্মদ নাসিমঃ আজ থেকে ৪৮ বছর আগের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল। মেহেরপুরের ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথতলায় সাদামাটা পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামান মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এ...
এম. নজরুল ইসলামঃ ঐতিহাসিক ছয় দফা বার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৭২ সালের ৭ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশে দেয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘২৫ মার্চ রাত ১১টায় সমস্ত সহকর্মী, আওয়ামী লীগ নেতাদের হুকুম দিলাম, বের হয়ে যাও। যেখানে পার, এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর। খবরদার স্বাধীনতা না আসা পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেও।’ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিন...
শাহাব উদ্দিন মাহমুদঃ একাত্তর পূর্ববর্তী প্রজন্ম বাঙালীর মুক্তি-সংগ্রামের দিনগুলোর জীবন্ত সাক্ষী। যারা মুক্তি-সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতি বিজয়ের দিনটিতে বাংলাদেশের জন্ম হতে দেখেছে, সেই সময়ের তীব্র আনন্দটুকু পৃথিবীর খুব কম মানুষ অনুভব করেছে। তারা খুবই সৌভাগ্যবান একটি প্রজন্ম- যারা সেই অবিশ্বাস্য আনন্দটুকু অনুভব করার সুযোগ পেয়েছিল! বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, সেই দিনটিতে যখন একজ...
অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে অনেক আলোচনা পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ হয়েছে। এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু এই ভাষণের পর তৎকালীন বাঙালি জাতির ওপর কী প্রভাব পড়েছে বা মানুষ কীভাবে দ্রুত স্বাধীনতা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে গেছে, সেটি খুব আলোচনা হয়নি। তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানো জরুরি। ১৯৭১...