৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর চূড়ান্ত নির্দেশনার পর দেশের সব সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। ব্রিটেন প্রবাসী ১০ হাজার বাঙালি লন্ডনে স্বাধীন বাংলার দাবিতে বিক্ষোভ করে। একদিকে পাকিস্তান সরকার অকার্যকর হয়ে যাওয়া, অন্যদিকে আরো বড় ত্যাগের প্রস্তুতি চলছিল তখন দেশজুড়ে। ৯ মার্চ, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঢাকা ...
শেখ হাসিনা, পুরনো দিনের মানুষ একান্ত নিজের মতো করে বলেন, ‘শেখের বেটি’। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রথম সন্তান শেখ হাসিনা। পিতা বঙ্গবন্ধু আদর করে ডাকতেন হাসু নামে। ১৯৮১ সালে ডুবন্ত নৌকার হাল ধরেন, ধরে রেখেছেন আজো। সিক্ত হয়েছেন লাখো নেতা-কর্মীর ভালোবাসা-শ্রদ্ধ...
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের প্রজন্মের কাছে বিশ্বটা উন্মুক্ত। তাদেরকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না। হয়ত ২১ বছর করতে পেরেছিল কিন্তু এখন আর পারবে না। প্রযুক্তির এই যুগে আর অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া যাবে না। বাঙালি এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। ৭ মার্চের ভাষণ যুগ যুগ ধরে বাঙালিকে প্রেরণা দিয়ে যাবে, একটা চিরন্তণ ভাষণ হিসাবে বিশ্বের বুকে উদ্ভাসিত থাকবে। সোমবার (৭ মার্চ) সকা...
ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে: 'জাতির জনক' এবং 'বঙ্গবন্ধু'র মতো দুর্দান্ত উপাধি যুক্ত হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের সঙ্গে। এটা এমনি এমনি হয়নি, আর একদিনেই এসব বিশেষণ অর্জন করেননি তিনি। বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্র সৃষ্টির প্রতিটি ধাপে অনন্য অবদানের কারণে এসব উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন শেখ মুজিব। এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে, বঙ্গবন্ধু কেন দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি...
আমির হোসেন আমুঃ বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তেমনি বলা যায়, শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের অভিযাত্রা সফল হতো না। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের মিছিলের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। শেখ হাসিনার বয়স তখন ছয় মাস। শৈশব কাটে টুঙ্গিপাড়ায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচ...
অজয় দাশগুপ্তঃ জননেত্রী শেখ হাসিনা কি উত্তরাধিকার সূত্রে বাংলাদেশের রাজনাীতিতে এসেছেন? সন্দেহ নেই, মহত্তম উত্তরাধিকার তিনি বহন করে চলেছেন। সর্বদা তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা এর চেয়ে বড় পরিচয় আর কিছুই হতে পারে না। ১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সম্মেলনে তাকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়, যখন তিনি দিল্লীতে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। এ ...
অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ: ক্রান্তিলঘ্নে বাঙালি জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে যিনি দেশকে গৌরবের আসনে সমাসীন করেছেন সেই টানা তিনবারের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তার অসাম্প্রদায়িক, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে দিয়েছে এক আধুনিক ও অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কের স্বীকৃতি। ২৮ সেপ্টেম্বর একুশ শতকের অভিযাত্রায় দিনবদল ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে ...
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও রাজনীতি
চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে রেকর্ড গড়েছেন শেখ হাসিনা। সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এ নিয়ে টানা তৃতীয় এবং সবমিলিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ওই বছরের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো বাংলাদে...
১৯৭১ সালের কথা বলছি। তখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ তুঙ্গে। একদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মার খাচ্ছে, অন্যদিকে যুদ্ধের ভয়াবহতা ও পাকিস্তানি সেনা আর তাদের এ দেশীয় দোসরদের গণহত্যা থেকে বাঁচতে কোনো রকমে প্রাণটা নিয়ে প্রতিদিন হাজারে হাজারে শরণার্থী ভারতে প্রবেশ করছে। ভারতের, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মানুষের কাছে আমাদের নাম হয়ে গেল ‘জয় বাংলার ...
বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের ফানুস উড়িয়েই টানা দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতার চার বছর পূর্ণ করল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এই সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, ...
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। ২০১৪ সালে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আজকের এই দিনে আমি তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলাম। আজ বছরপূর্তিতে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে হাজির হয়েছি। আমার উপর যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছিলেন, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি আপনাদের মর্যাদা রক্ষা করার। কতটুকু সফল বা ব্যর্থ হয়েছি সে বিচার আপনার...
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি সব সময় সহজ সরল পথে চলেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে পুরনো পাকিস্তানের ধারায় চালিয়েছে সামরিক শাসকরা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি পাকিস্তানপন্থী ভাবধারার দেশে পরিণত করেছিলেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে ...