275
Published on জুন 22, 2025২০২৫ সালের জুলাইয়ে জারি করা অধ্যাদেশ নং ৩০ একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার দলিল, যা ২০২৪ সালের মিডিয়া-নির্ভর, বিদেশি প্রভাবিত ঘটনাকে "অভ্যূত্থান" নামে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। হাজার হাজার পুলিশ হত্যা করে, রাষ্ট্রীয় সম্পদে আগুন দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে দেশের মানুষ কে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। আমরা এটিকে রাষ্ট্র ও সংবিধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখি। এই অধ্যাদেশের মূল ধাপগুলো ও এর সুস্পষ্ট যুক্তি দেওয়া হলো:
২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার শাসনকে শুরু করে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে, অথচ তার আগের শাসনকালগুলোতে কী ঘটেছে সেসব নিয়ে একটি শব্দও নাই!
১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে শুরু হয়েছিল সামরিক শাসনের দীর্ঘ অধ্যায়।জেনারেল জিয়া ক্ষমতায দখল তরে একই সাথে রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের পদ দখল করেন। তার আমলে বেছে বেছে সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সেনাসহ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিনা বিচারে ফাঁসি তে ঝোলান। তখন মানবাধিকার কোথায় ছিলো ? যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা কর্ণেল তাহের কে ফাঁসি দেন।এরপর রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়া এক সামরিক অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন তখন গণতন্ত্র ছিল? সেনাবাহিনীর বন্দুকের জোরে ক্ষমতা, গুম, ক্রসফায়ার, গণহত্যা—সব ছিল!
২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘুদের উপর যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল, হিন্দু পরিবারগুলোর মা-মেয়েকে বাবা-ভাইয়ের সামনে কিশোরী পূর্ণিমা, মহিমাদের ধর্ষণ করেছিল—সেসব জাতিসংঘ পর্যন্ত রিপোর্ট করেছিল।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালে ২০০১ বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি হাওয়া ভবন কেলেংকারী দেশী বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। বাংলা ভাইসহ জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে । ২১ শে আগষ্ট তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেঢ হামলা করে ২৪ জন মানুষ কে হত্যা করা হয়। ২০০৫ সালে ১৭ ই আগস্ট ৬৩ জেলায় এক যোগে সারাদেশে বোমা হামলা চালানো হয়। শাহ এ এমএস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জরুল ইমাম, মমতাজ হোসেনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিলো। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, সাবের হোসেন চৌধুরীসহ অনেকের উপর বোমা হামলা চালানো হয়।
তাহলে প্রশ্ন—সেইসব ইতিহাস বাদ দিয়ে শুধু ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করার মানে কী?
নির্বাচনে না এসে বিএনপি নিজের ইচ্ছায় বিরত ছিল। তাহলে তা দিয়ে প্রতিবারই “অবৈধ” শব্দ বসিয়ে ইতিহাস লেখা কি বিকৃতি না?
১. জুলাই আন্দোলন কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান
২০২৪ সালের তথাকথিত “জুলাই আন্দোলন” ছিল একটি বিদেশি এনজিও-চক্র ও করপোরেট মিডিয়ার পরিকল্পিত প্রচার-আক্রমণ**, যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়। একটি কোটার আন্দোলন কে বিপ্লব বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই না।
এই ঘটনার কোনো গণভিত্তি ছিল না এটি ছিল একটি সাইলেন্ট ক্যূ , যার নেপথ্যে ছিলেন ড. ইউনূস।
তিনি নিজেই একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জনগণের না থাকলেও আন্তর্জাতিক সংযোগ আমার আছে—এ বক্তব্যই তাঁর স্বৈরাচারী মানসিকতার প্রমাণ।
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মানে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ষড়যন্ত্রকে বৈধতা দেওয়া, যা সাংবিধানিকভাবে অবৈধ ও নৈতিকভাবে কলঙ্কজনক।
২. তথাকথিত “জুলাই শহীদ” পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা
যে ব্যক্তিরা সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের শহীদ বলা সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী এবং অবমাননা।
শহীদ শব্দটি শুধুমাত্র স্বাধীনতার জন্য জীবনদানকারীদের জন্য সংরক্ষিত। “শহীদ রফিক, শহীদ জব্বার” আর তথাকথিত “জুলাই শহীদ এক হতে পারে না!
যারা শহীদ হয়েছেন বলা হচ্ছে তাদের মৃত্যু কিভাবে ঘটেছে ময়নাতদন্ত ছাড়া নির্ধারণ সম্ভব ?
রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, মাথায় গুলি লেগে মস্তিস্কের ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে অনেকের। এর শিকার বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে, কেউ বেঁচে গেছেন প্রায় অলৌকিকভাবে।
নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ডা. চৌধুরী মুহাম্মদ ফুয়াদ গালিব বলেন, এখানে ভর্তি অধিকাংশেরই গুলি লেগেছে ঘাড়ে ও মাথায়। অনেকের আবার মাথা ভেদ করে বেরিয়ে গেছে সেই বুলেট। মাথায় স্নাইপার রাইফেলের গুলিতে অধিকাংশ রোগীকেই বাঁচানো যায়নি। অনেক চেষ্টার পরও কারও কারও মাথা থেকে গুলি বের করা যায়নি। যদিও বা কারও কারও মাথা থেকে গুলি বের করা গেছে, তার সংখ্যা একবারে কম।
গুলিবিদ্ধের অস্ত্রোপচার করেছেন এমন এক নিউরো সার্জন ডা. মো. সামসুল আরেফিন জানালেন, যতগুলো বুলেট তিনি বের করেছেন সেগুলো সাধারণ বুলেটের চেয়ে আকারে বেশ বড়।
সেসব গুলির ছবি পর্যালোচনা করে সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক বলছেন, এগুলো স্নাইপার রাইফেল থেকে ছোড়া এবং প্রাণঘাতী। উল্লেখ্য পুলিশ বাহিনী স্নাইপার ব্যবহার করেনি তাহলে এই স্নাইপার এলো কোথা থেকে ?
৭.৬২ গুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন। এর এক দিনের মাথায় দায়িত্ব থেকে উনাকে সরিয়ে দেয়া হয়।
ঢাকা যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের উপর নিহত জুলাই আন্দোলনে মোঃ শাহাদাত হোসেন শাওন।
ময়নাতদন্তের জন্য ৯ মাস ২০ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন-মাথায় পাওয়া গেছে দুইটি স্নাইপার রাইফেলের গুলির স্পষ্ট চাপ যা একদম ছিদ্র করে বের হয়ে গেছে মাথার সামনে থেকে পেছন সাইডে!
সবগুলো হত্যাকান্ড পরিকল্পিত ভাবে করছে ইউনুস বাহিনী । এজন্য লাশ উঠিয়ে ময়নাতদন্তের কথা উঠলেই ইউনুস গং সরাসরি না করে দিয়েছে।
এসব পরিবারকে ভাতা ও সুবিধা দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের প্রতি চরম অবমাননা এবং ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে। শহিদ’ শব্দের পবিত্রতা রয়েছে। যারা অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপে জড়িয়ে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তারা শহিদ নয়, বরং অপরাধ সংঘটনের অংশ ছিলেন। শহিদ হতে হলে লড়তে হয় দেশের জন্য, ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষে নয়। রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা তারা পায় যারা দেশের পক্ষে কাজ করে, রাষ্ট্রকে রক্ষা করে। যারা ষড়যন্ত্র করে, তাদের পুনর্বাসন মানে ভবিষ্যতে আবারও এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি করা। এটি জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি।
৩. “জুলাই যোদ্ধা” নামে নতুন শ্রেণি ও পুনর্বাসন বোর্ড গঠন
যোদ্ধা’ শব্দের রীতিমতো অপমান। বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘যোদ্ধা’ শব্দটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। এটি সাধারণত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ব্যবহৃত হয় যারা অস্ত্র হাতে নিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যুদ্ধ করেছেন।
“জুলাই যোদ্ধা” নামক নতুন একটি রাজনৈতিক চক্রান্তবাদী শ্রেণিকে যোদ্ধার সম্মান দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদাকে অবমাননা করা।
এই আইনের আওতায় "মহাপরিচালক" নামক একটি নতুন আমলাতান্ত্রিক পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা একটি বিকল্প প্রশাসনিক কাঠামোর সূচনা। এটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিকল্প শক্তি তৈরি করার ব্লুপ্রিন্ট।
জুলাই যোদ্ধা নামটি একটি কৃত্রিম, রাজনৈতিকভাবে তৈরি শ্রেণি—এরা মূলত রাজনৈতিক দালাল, বাম-ডান সুবিধাবাদী এবং বিদেশি এজেন্ডার কর্মী। এদের পুনর্বাসন মানে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের পুরস্কার দেওয়া। পুনর্বাসন বোর্ড গঠনের মাধ্যমে মূলত একটি পলিটিকাল রিওয়ার্ড সিস্টেম’ গড়ে তোলা হয়েছে, যার পেছনে আছেন ইউনূসপন্থী-স্বাধীনতা বিরোধী চক্র।
৪. জুলাই আদর্শ রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রবর্তনের চেষ্টা
জুলাই আদর্শ বলতে কিছু নেই—এটি হলো বিচারাধীন এক ব্যক্তির আত্মরক্ষার গল্পকে রাষ্ট্রীয় নীতিতে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা।
*বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূল আদর্শ হলো—ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ—যা ৭২’র সংবিধানে ছিল।
এই ‘নতুন আদর্শ’ আসলে ইতিহাসকে রাজনৈতিক স্বার্থে পুনর্লিখনের অংশ।
৫. তথাকথিত জুলাই ইতিহাস রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণ
১.সরকার ইতিহাস সংরক্ষণ করবে কী ভিত্তিতে?
২.আল-জাজিরা বা নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে? নিউইয়র্কে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রতিষ্ঠান ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ’–এর একটি আয়োজনে অংশ নেন ড. ইউনুস । সেই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন আন্দোলন খুব গোছানো ছিল ম্যাটিকুলাস ডিজাইন । এমনকি লোকজন জানতেন না, কারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কথা বলার একপর্যায়ে মাহফুজকে সামনে এগিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পেছনের কারিগর এই মাহফুজ। বাস্তবে কোনো গণআন্দোলন হয়নি, হয়নি কোনো বিপ্লব। হয়েছে নির্বাচনের আগে ও পরে বিদেশি তৎপরতা ও এনজিও প্ররোচিত মিডিয়া শোরুম।এ ধরনের প্যারালাল ইতিহাস তৈরি করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক রাজনীতিকে খাটো করা হচ্ছে।
৬. “জুলাই অস্বীকার” করলে শাস্তির বিধান
এটি একটি মতপ্রকাশ দমন আইন—যা সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে।
কেউ যদি বলে, “জুলাইতে কোনো অভ্যুত্থান হয়নি”, তার জন্য শাস্তি হবে? তাহলে গণতন্ত্রের কণ্ঠ রুদ্ধ করা ছাড়া এর আর কী অর্থ থাকতে পারে?
এটি আসলে ফ্যাসিবাদী স্টেট কনস্ট্রাকশন, যেখানে সত্য বলাটাই অপরাধ।
গেজেট বলছে: ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ চারটি বিভাগের হাজার হাজার আহতের তালিকা দেওয়া হয়েছে।
এটি নিছক একটি ‘রাজনৈতিক জনবল’ তৈরির প্রকল্প। এরা ভবিষ্যতে 'জুলাই যোদ্ধা' পরিচয়ে রাজনৈতিক দাবিদার হবে।
কোনো গণতান্ত্রিক বা আইনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই তালিকা তৈরি—যেখানে প্রকৃত সত্য উন্মোচনের কোনো সুযোগ নেই।
এটি ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় পদ, পেনশন, চাকরি ও আর্থিক সুবিধা আদায়ের চক্রান্তমূলক ভিত্তি
সংবিধান ও ইতিহাসের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন
এই তালিকাভুক্তি ‘রাষ্ট্রীয় শহিদ’ ও ‘যোদ্ধা’ পরিচয়ের অপব্যবহার।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্ত দিয়ে অর্জিত শহিদ শব্দের পবিত্রতাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা।
আইনসভা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে এক ধরনের ‘ছায়া মুক্তিযুদ্ধ’ তৈরি করা হচ্ছে—যা সত্যিকারের ইতিহাসের সাথে প্রতারণা।
আরও বিস্ময়কর, এই গেজেটের শুরুতেই লেখা—২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি শেখ হাসিনার শাসন শুরু হতেই নাকি দেশে গুম, খুন, বাকস্বাধীনতা হরণ, টাকা পাচার, অর্থনীতির পতন ইত্যাদি শুরু হয়েছে। আচ্ছা ভাই, ২০০৯ সালের বাংলাদেশের অবস্থা কি তোমাদের জানা আছে?
২০০৯ সালে দেশের GDP ছিল মাত্র ৮৮ বিলিয়ন ডলার, এখন ২০২৪ সালে সেটা ৪৮০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তখন রিজার্ভ ছিল ১.৫ বিলিয়ন, এখন তা ২৫-২৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে—even after global crises।
মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫৭৭ ডলার, এখন সেটা ২৯০০ ডলার।
টিনের চশমা চোখে দিয়া সংস্কারের নামে মূলা খেতে থাকুন।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশের নামে জমে থাকা অর্থের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
২০২৪ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের নামে পাওনা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় ( প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে ) যার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে যার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ। এখনকার বিনিময় হার ধরলে যার পরিমাণ ৩৯৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। ২০২২ সাল শেষে বাংলাদেশের কাছে সুইজারল্যান্ডের দায় ছিল ৫ কোটি ৮৪ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ৮৭৬ কোটি টাকা।এই বাংলাদেশের নামে পাওনা টাকার পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলছে।
২০২৪ সালে আসিফ মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও ২০২৫ সালের শুরুর দিকে ইনুচ ও প্রেস সচিব ডাস্টবিন শফিক সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করে। কিছুদিন আগে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় গত ১০ মাসে বাংলাদেশ থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
অধ্যাদেশ নং ৩০, ২০২৫ হলো—
১.ইতিহাস বিকৃতির একটি দলিল
২.শেখ হাসিনার সরকারের স্থিতিশীলতা ধ্বংসের বৈধ কাঠামো
৩.মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী একটি নীলনকশা
৪ .আন্তর্জাতিক লবির স্বার্থে বাংলাদেশের ভেতরে একটি ছায়া সরকার প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত।
এই অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে
তথাকথিত ‘জুলাই শহীদ’, ‘জুলাই যোদ্ধা’—সব রাজনৈতিক তকমা নিষিদ্ধ করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকেই জাতীয় আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা রাখতে হবে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতি রুখে দাও। রাষ্ট্র বাঁচাও, তাহলেই প্রজন্ম বাঁচবে।
লেখক - সাখাওয়াত হোসেন