ভিয়েনায় আইএইএ এবং ইউনিডো-এর সদর দপ্তরের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

168

Published on মার্চ 28, 2025
  • Details Image

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রশ্নে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একপেশে প্রতিবেদন প্রত্যাহারের দাবিতে এবং বাংলাদেশে অবৈধ ইউনূস সরকার কর্তৃক সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড, বাড়িঘরে লুটপাট-অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ লাখ লাখ নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এবং জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো)-এর সদর দপ্তরের সামনে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ ২০২৫) স্থানীয় সময় দুপুর ১:০০টায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শ্যামল, অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহি দাস সাহা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হারুন অর রশিদ আরিফ, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মনিরে আজম মুকুল, নুসরাত সুলতানা মিষ্টি, ফরিদা ইসলাম, জারিন জাকারিয়া, জেফ্রী ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম বলেন, 'সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন, বিবিসির হার্ডটক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই-আগস্টে তিনি সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলেন যে, যদি সেনাবাহিনী আন্দোলন দমনের পথে যায় তাহলে তাদের জন্য শান্তিরক্ষী মিশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশে পরিবর্তন আসে।'
এম. নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, জাতিসংঘের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে তিনি কি এ কথা বলতে পারেন? আমরা মনে করি তিনি একথা বলে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশজুড়ে যে অবাধ লুটপাট, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং পুলিশ হত্যা হয়েছে-এসব অপকর্মের নেপথ্যে তাঁর হাত রয়েছে। ভলকার তুর্ক বিবিসির হার্ডটক অনুষ্ঠানে সে কথা স্বীকার করেছেন। অর্থাৎ তিনি জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সব অপরাধমূলক অপকর্ম ও হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত অপরাধী। আমরা জাতিসংঘের কাছে তাঁর বিচার দাবি করছি। আমরা মনে করি জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সব অধিকার তিনি হারিয়েছেন। জাতিসংঘে কর্মরত অবস্থায় কী করে তিনি একটি দেশের সেনাবাহিনীকে নির্দেশনা দেন? কী করে তিনি একটি দেশের অভ্যন্তরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে দুষ্কৃতকারীদের সহযোগী হিসেবে অবতীর্ণ হন? জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠান কী অন্ধ ও বধির হয়ে গেল। জাতিসংঘ কি ভলকার তুর্কের অপরাধ চোখে দেখে না। তাঁর স্বীকারোক্তি শুনতে পায় না?'

সমাবেশ শেষে আইএইএ-এর ডিজির মাধ্যমে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বরাবর প্রতিবাদ পত্র দাখিল করা হয়। পত্রে বলা হয় 'অবৈধ খুনি ইউনূস সরকারের ডিক্টেশন মেনে একপেশে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন অভিলম্বে প্রত্যাহারের করুন।' আইএইএ-এর একজন কর্মকর্তা পত্রটি গ্রহণ করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে এই প্রতিবাদ পত্র হস্তান্তর করেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শ্যামল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসা মুহাম্মদ ইউনূস গং যে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের, সংখ্যালঘুদের হত্যা এবং তাঁদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট ও দখলসহ মানবতাবিরোধী যেসব অপরাধ করেছে এবং করে চলছে, তার তথ্য প্রমাণ অভিযোগ পত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত