401
Published on মার্চ 13, 2024বিভিন্ন দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাণ্ড-কারখানা দেখে মনে হয়, বাংলাদেশ নিয়ে যেন তাদের চিন্তার কোনো অন্ত নেই। এদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন, আইনের শাসন, বাক-স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তারা কারণে-অকারণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেসব প্রতিবেদন এবং তাদের কথাবার্তা থেকে এমন ধারণা হওয়াটাও অমূলক নয় যে, বাংলাদেশ ঠিকঠাক মতো চললে অচিরে পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কথাটার মধ্যে একটু খেদোক্তি থাকলেও, বাস্তবতা কিন্তু এর থেকে দূরে নয়। তাদের আচার-আচরণ অনেকটা সে-রকম।
বন্ধু-রাষ্ট্রগুলো যদি সত্যি সত্যিই বাংলাদেশের ভালো চায়, তাতে দোষের কিছু নেই; বরং এমন বন্ধুভাগ্যকে বাংলাদেশের তো মাথায় তুলে রাখা উচিত।
তারা প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দুর্বলতাগুলোকে চিহ্নিত করে, যাতে দ্রুত সেসব সংশোধন করা যায়। এ-রকমটি যদি হতো, তাহলে তো কোনো কথাই ছিল না; বরং একে সাধুবাদ জানানোই উচিত। কিন্তু ঘটনাটা কি আসলে সে-রকম?
মজার বিষয় হচ্ছে, যেসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তারা এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করে- সেটি আদৌ কতটুকু সত্য, এর কোনো বাস্তব ভিত্তি আছে কি না, সেটিও তারা যাচাই করে দেখে না। দেখে না, না-কি দেখতে চায় না? প্রতিবেদনের আড়ালে কি তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য কাজ করে? কেন বারবার বাংলাদেশ তথ্যসন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে?
চলুন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজি আজ-
প্রথমে বাংলাদেশ-সংক্রান্ত কোনো একটি বিষয় নিয়ে একটি দেশি বা বিদেশি সংস্থা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
একটু লক্ষ করলে পরিষ্কার বোঝা যায় যে সেসব প্রতিবেদনে সুকৌশলে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরির চেষ্টা করা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পরপরই দেশীয় কিছু রাজনৈতিক দল ও সুশীল ‘হায় হায় গেল গেল রব’ তোলে। এরপর সোশাল মিডিয়ায় ‘… এর নাম কি উন্নয়ন, উন্নয়ন ধুয়ে কি পানি খাবো’… ইত্যাদি কথা বলে ট্রল করা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন টিভি মিডিয়া ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শুরু হয় টকশো। প্রতিবেদনের দোহাই দিয়ে দেশ কতটা রসাতলে গেল, সেটি নিয়ে চর্চা করা হয়।
এরপর মাঠে নামে পশ্চিমা বন্ধু-রাষ্ট্রগুলো। ডেভেলপ পার্টনারের দোহাই দিয়ে ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ‘ডেমোক্রেসি স্ট্রেনদেনিং’, ‘এনসিউরিং গুড গভর্নেন্স’, ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’- নানারকম বাহারি শব্দের খোলসে তারা ওয়াজ-নসিহত শুরু করে। এ পর্যন্ত প্যাটার্নটা এ-রকমই। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাটে বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত কিছু দেশীয় সংস্থা। দেশি-বিদেশি এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনগুলো দেখলে সহজে বিষয়টি বোঝা যায়।
কেস স্টাডি-১ : রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ)
সম্প্রতি ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স-আরএসএফ’ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালে সাংবাদিক নির্যাতন নিয়ে তৈরিকৃত এ প্রতিবেদনটি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে সাংবাদিক-হত্যাকাণ্ডের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ছয় সাংবাদিক জেলে রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেছে। তাদের নাম- গোলাম মোস্তফা রফিক, সিরাজুল ইসলাম রতন, আহমেদ খান বাবু, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান এবং এসএম ইউসুফ আলী।
২০২৩ সালে সাংবাদিকদের জেলে থাকার বিষয়টি একদম ভুল একটি তথ্য। তাহলে এবার আসুন, প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছয় সাংবাদিকের বর্তমান হালহকিকত জেনে আসি-
২০২৩ সালে কেউ জেলে না-থাকা সত্ত্বেও আরএসএফ তাদের প্রতিবেদনে উপরোক্ত ছয় সাংবাদিক জেলে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। সত্যতা যাচাই না-করে ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের জেলে রাখার খবর প্রচার করেছে। এটি কি তাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল, না-কি সজ্ঞানে তারা সেটি করেছে?
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়টি তাদের জানানো হলেও এ নিয়ে তারা কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি বা দুঃখ প্রকাশও করেনি।
তবে কি আমরা ধরে নিব, ইচ্ছেকৃতভাবে তারা এই অপতথ্য ছড়িয়েছে?
কেস স্টাডি-২ : নির্বাচনে সাংবাদিকের ওপর হামলা
‘কমিটি ফর প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)’ তার প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধায় সাত সাংবাদিকের ওপর হামলার কথা উল্লেখ করেছে। গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার ঘটনা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় অপরাধ। কিন্তু সে-সুযোগে ভুল তথ্য পরিবেশনও একটি নৈতিক অপরাধ।
প্রথমত; সাতজন নয়, তিন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছিলেন। তালিকার সাতজনের মধ্যে একজন তো সাংবাদিকই নয়। আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় লিপ্ত ছিল। তাদের ওপর যখন হামলা হয় তখন সেখানে উক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীও উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। সিপিজে কেন যাচাই-বাছাই না-করে এই ভুল তথ্য প্রচার করল?
কেস স্টাডি-৩ : সংখ্যালঘু নির্যাতন
মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল অত্যন্ত খ্যাতিসম্পন্ন একজন মানুষ। বহুদিন ধরে তিনি মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন। তার প্রতিষ্ঠান ‘মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন-এমএসএফ’ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তাদের একটি পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছে। তাদের সেই পর্যবেক্ষণে তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা হিসেবে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও কন্যাসহ তিনজনের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেছে। মজার বিষয় হচ্ছে, ১২ ঘণ্টার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের হত্যাকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। হত্যাকারী রাজিব ভৌমিকের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায় যে পাওনা টাকার জেরে আপন মামা, মামি এবং মামাতো বোনকে সে হত্যা করেছে। অথচ এই সামাজিক অপরাধকে ‘মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন’ সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে অভিহিত করেছে। এটি কি তাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল?
ভুল নয়। কারণ ভুল হলে তো তারা এই ভুল স্বীকার করে বিবৃতি দিত। কিন্তু সেটি তারা দেয়নি। তবে কি আমরা ধরে নেব, সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিতে তারা এ কাজটি করেছে?
কেস স্টাডি-৪ : ২০২৩ সালে নিহত সাংবাদিক নিয়ে বিভ্রান্তি
তথাকথিত ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি’ তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে দুই সাংবাদিক নিহত হওয়ার কথা বলেছে। যদিও আইন সালিশ কেন্দ্র বলেছে যে ২০২৩ সালে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
যে তিন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে, এর মধ্যে এক সাংবাদিক আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
অন্য একজন ২৮ অক্টোবর ঢাকার সেগুনবাগিচায় রিকশায় হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। হামলার শিকার না-হয়ে হার্ট অ্যাটাকে তার পিতার মৃত্যু হয়েছে বলে নিহত সাংবাদিকের মেয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করেছেন। অথচ একেও সাংবাদিক-হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনটি।
কেস স্টাডি-৫ : জাতিসংঘের ‘জোর করে গুমের’ তালিকা
কিছুদিন আগে ২০২২ সালে বাংলাদেশে ‘জোর করে গুমের’ শিকার ৭৬ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছিল জাতিসংঘ। এই তালিকার অনেকের খোঁজ পাওয়া গেছে। আবার এই তালিকা দেখে যে কারও মনে হতে পারে- এরা বুঝি সবাই আওয়ামী লীগ আমলে গুম হয়েছে। কিন্তু এদের অনেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগেই গুম হয়েছে। আসুন দেখে নিই এই তালিকার অসংগতিগুলো-
* এই তালিকায় থাকা ৭৬ জনের মধ্যে ১১ জনের খোঁজ পাওয়া গেছে।
* তালিকায় দুজন ভারতীয় নাগরিকের নামও ছিল।
* আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে, জাতিসংঘের গুম তালিকাভুক্ত ব্যক্তি শামীম উদ্দিন প্রধান ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন।
* এই তালিকাতে ২৮ পলাতক দাগি আসামির নামও রয়েছে। কী অদ্ভুত ব্যাপার, পলাতক আসামিরাও জাতিসংঘের গুমের তালিকায়।
* গুম তালিকাভুক্ত সেনা কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমানকে জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততা, জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ, সেনাবাহিনীর স্পর্শকাতর তথ্য পাচারসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকাবস্থায় সামরিক আইনে ২০১৮ সালে গ্রেফতার এবং সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়।
* তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ শফিকউল্লাহ মোনায়েম নিখোঁজ হয়।
* তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৫ মে হাসান খানকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
* আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পূর্বেই ১৯৯৬ সালে পাহাড়ি মহিলা ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা গুম হয়।
* গুম তালিকাভুক্ত বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর গুম নিয়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস মিডিয়াতে বলেছেন, ‘আমি জানি আমার বাংলাদেশের সরকার, আওয়ামী লীগ সরকার গুম করে নাই। কিন্তু গুমটা করলো কে? এই সরকারের কাছে জানতে চাই? ইলিয়াস গুমের পিছনে আমার দলের অভ্যন্তরে লুকায়িত যেসব বদমাশগুলো আছে, তাদের দয়া করে একটু আইডেন্টিফাই করুন।’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- জাতিসংঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা কীভাবে এত বড় ভুল করল?
কেস স্টাডি-৬ : শাপলা চত্বরে নিহত নিয়ে অধিকারের মিথ্যাচার
‘অধিকার’ নামক প্রতিষ্ঠানটির কথা বলা যাক। অনেকে বিভিন্ন কারণে নিখোঁজ হয়। অধিকার সেই নিখোঁজের তালিকা করে; কিন্তু পরবর্তীতে যাদের খোঁজ পাওয়া যায় কিংবা যারা বাসায় ফিসে আসে, তাদের সেই তথ্য তারা আর আপডেট করে না।
এমনকি বিভিন্ন সময় তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্যও প্রচার করে। ২০১৩ সালে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে পুলিশি অভিযানে ৬১ জন নিহত হয়েছে বলে তাদের পক্ষ দাবি করা হয়েছিল। এই মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে সরকারের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। আদালত ‘অধিকার’-এর কাছে নিহতের তালিকা চাইলে তারা সেটি দিতে ব্যর্থ হয়।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ‘অধিকার’-এর আদিলুর রহমান শুভ্র ও নাসিরউদ্দিন এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- অধিকার কেন বাংলাদেশকে হেয় করে এই মিথ্যা তথ্য ছড়াতে গেল?
উপরের কেস স্টাডিগুলো থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার যে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। এসব মিথ্যা তথ্যের কারণে দেশে ও দেশের বাইরে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি বিরূপ ধারণা তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-
– কেন এই সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে ছোট করে দেখাতে চায়?
– কেন তারা মিথ্যা ও অপতথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চায়?
– বাংলাদেশকে হেয় ও ছোট করলে কাদের ফায়দা হাসিল হয়?
– কোন্ অশুভ শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে এসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে?
– দেশের ভিতরে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করার জন্যই কি এসব অপতথ্য ছড়ানো হয়?
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে হবে আমাদের। সত্য দিয়ে তাদের মিথ্যার মুখোশ উন্মোচন করতে হবে আমাদের।
লেখকঃ সাদিকুর রহমান পরাগ
সৌজন্যেঃ উত্তরণ (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মুখপত্র)